প্রতীকী ছবি।
হৃদযন্ত্রের কোনও অসুখ হয়েছে কি না ধরতে চিকিৎসক যে রক্তপরীক্ষা করতে দেন, তার মধ্যে দিয়েই তিনি দেখে নেন ট্রাইগ্লিসারাইডস আর কোলেস্টেরলের পরিমাণ ঠিক আছে কি না! এই দুটো লিপিডকে মাঝেমাঝেই অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। এদের মধ্যে কিছুটা মিল রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই দুটোরই উৎস ও কার্যপ্রণালী ভিন্ন।
ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের আপেক্ষিক মিল ১) শরীরে যদি ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল তাদের স্বাভাবিক পরিমাণে থাকে, তা হলে দুটির কোনওটিই ক্ষতিকারক নয়। কারণ একটি সুস্থ স্বাভাবিক শরীরের জন্য দুটিরই সমান প্রয়োজনীয়তা আছে।২) দুটোই বেশি পরিমাণে থাকা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ শরীরে বেশি হয়ে গেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে গেলেও হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত অসুখের আশঙ্কা থাকে।৩) ‘লিপিড প্রোফাইল’ বলে যে রক্ত পরীক্ষাটি করানো হয়, সেটা দিয়েই ট্রাইগ্লিসারাইড আর কোলেস্টেরলের পরিমাপ জানা যায়। কারণ চিকিৎসক অনেক সময়ই হৃদযন্ত্রের অসুখ, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে চান।৪) ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল কমানোরও উপায় এক রকম। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নিয়মিত শরীরচর্চা করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মদ্যপান না করা।
ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের তফাত উপরের সাদৃশ্যগুলি নিতান্তই আপেক্ষিক। তাই দেখে এই দুটি লিপিডকে এক বলা যায় না। বরং এই সব সাদৃশ্যগুলি ভেবে যাঁরা এই দুটিকে গুলিয়ে ফেলেন, তাঁদের আরও এই তফাত সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।১) ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে উৎপন্ন হয়। শরীর যেমন নিজে থেকেই তার প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল উৎপাদন করে, এটা কিন্তু ট্রাইগ্লিসারাইডের ক্ষেত্রে হয় না। ট্রাইগ্লিসারাইড আসে বাইরের খাবার কিংবা অতিরিক্ত ক্যালোরি থেকে।২) ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের কার্যপ্রণালীও সম্পূর্ণই আলাদা। ট্রাইগ্লিসারাইডের মূল কাজ শরীরকে শক্তি যোগানো এবং পরবর্তী সময়ের জন্য অব্যবহৃত ক্যালোরি জমিয়ে রাখা। অন্য দিকে কোলেস্টেরল শরীরের কোষ, হরমোন, ভিটামিন ডি ও পিত্ত তৈরিতে সহায়তা করে।৩) ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল দুটোই অনেকটা বেশি হয়ে গেলে দুটোই আলাদা ভাবে হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোলেস্টেরল বেশি হওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক তো এখন সর্বজনবিদিত। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক হলেও প্রচুর ট্রাইগ্লিসারাইড বেশিমাত্রায় থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি হতে পারে। ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি হওয়া মানে ধরে নিতে হবে শরীর ঠিক মতো তার শক্তিক্ষয় বা শক্তিসঞ্চয় করছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy