২০১৩ সালে ‘জঞ্জির’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন দক্ষিণী এই অভিনেতা। তার পর আর কোনও হিন্দি ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি। তবে ‘আরআরআর’ ছবিতে তাঁর অভিনয় এবং দেহসৌষ্ঠব আলাদা করে মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। রামচরণের নাচ, তাঁর ফিটনেস নিয়ে চর্চা হয়ই টিনসেল টাউনে। চল্লিশ বছরের অভিনেতার চেহারায় এখনও তারুণ্যের ছাপ। ছিটেফোঁটাও মেদ নেই। রামচরণ জানিয়েছেন, নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করেই এত ফিট তিনি। তাঁর মতো বয়সে এসেও কী ভাবে এত চনমনে ও তরতাজা থাকা যায়, সে টিপ্সও দিয়েছেন।
বাড়ির খাবার ছাড়া বাইরের খাবার ছুঁয়েও দেখেন না তিনি। রোজ দেড় ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করেন। কার্ডিয়ো, জাম্পিং জ্যাক, পুশ আপ, নানা ধরনের প্ল্যাঙ্ক অভ্যাস করেন। সকালে একপ্রস্ত শরীরচর্চা সেরে তার পর সব কাজ শুরু করেন তিনি। শরীরচর্চার সঙ্গে কোনও আপস করেন না দক্ষিণী এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন:
এ তো গেল শরীরচর্চার কথা। খাওয়াদাওয়াতেও কঠোর নিয়ম মেনে চলেন রামচরণ। নিজেই জানালেন, যদি মেদ ঝরিয়ে সুস্থ থাকতে হয়, তা হলে রাতের খাওয়া সারতে হবে সন্ধ্যার মধ্যেই। সন্ধ্যা ৬টা বাজলেই রাতের খাওয়া সেরে নেন তিনি। বাড়ির তৈরি কম তেলমশলা দেওয়া খাবারই খান। ডায়েটের জন্য আলাদা করে কোনও তালিকা মেনে চলেন না। তেল-ঝাল-মশলা ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবারই থাকে তাঁর রোজের খাদ্যতালিকায়। তাঁর সকাল শুরু হয় এক গ্লাস দুধ খেয়ে। সঙ্গে মরসুমি ফল থাকে। শুটিংয়ে থাকলেও বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন। তাতে থাকে বিভিন্ন সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি। তাঁর রান্নায় সর্ষের তেলের ব্যবহার হয়ই না। তিলের তেলেই হয় সব রান্না। তিলে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তিলের তেলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তাই প্রতি দিনের খাবারে এই তেল ব্যবহার করলে, মেদ তো জমবেই না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।