— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জ্বালা, ব্যথা নেই। তবু যত বার গায়ে-হাতে-পায়ে গজিয়ে ওঠা লাল ফুসকুড়িগুলির উপরে চোখ যায়, তত বার অমৃতার মনে হয়, ‘ভয়ের কিছু নেই তো!’ গর্ভাবস্থায় যখন অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা, তখন এই টুকটুকে লাল ফুসকুড়িগুলিই যেন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে তাঁর। ‘আমার সন্তানের কোনও ক্ষতি হবে না তো?’ এমন ভাবনাও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে দুশ্চিন্তার অবসান হল চিকিৎসকের পরামর্শে। ডাক্তার জানালেন, অমৃতার হাতে-পায়ে-গায়ে যে লাল বাম্প দেখা দিয়েছে, সেগুলিকে বলা হয় ‘পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমা’।
এ সমস্যা হতে পারে ছ’বছরের পর থেকে যে কোনও শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তির। গ্রোথগুলি হালকা গোলাপি থেকে গাঢ় লাল রঙের হতে পারে। কয়েক মিলিমিটার থেকে আধ ইঞ্চি পর্যন্ত বড়ও হতে পারে এক একটি লাল বাম্প। ব্যথা-জ্বালা হয় না। সময়ের সঙ্গে এক ধরনের সাদা আস্তরণ পড়তে পারে বাম্পগুলির উপরে। পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে লবিউলার ক্যাপিলারি হেমানজিওমা বলা হয়। দুটো নামই প্রচলিত।
কোথায় হয় ও কী কারণে হয়?
ডা. অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, এটি সাধারণত মুখে, ঠোঁটে, হাত বা পায়ের আঙুলে দেখা দেয়। পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমা ছোঁয়াচে নয়। অন্য কোনও রোগের ইঙ্গিতও নয়। তবে এটি খোঁটাখুঁটি করতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা। ঠিক কী কারণে এই গ্রোথ দেখা দেয়, তা একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার কারণে কোথাও আঘাত লাগলে বা কোনও বিশেষ অবস্থায় (যেমন গর্ভাবস্থা বা কোনও বিশেষ ওষুধের প্রভাবে) এই বাম্প হতে পারে। অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলি হল—
চিকিৎসা
কিছু ক্ষেত্রে পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমা নিজে থেকেই কমে যায়। না হলেও অন্যান্য উপায় আছে।
চিকিৎসক সুবীর মণ্ডলের মতে, সাবধান থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শে একটা বায়পসি করে নেওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য তাঁর সতর্কবার্তা, বায়পসি শুনলে অনেকেই ক্যানসার ভাবেন, তবে এ ধারণা ভুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy