মুখে ঘি মেখে রাখলে ত্বক উজ্জ্বল হয়? ত্বকের পরিচর্যায় ঘিয়ের ব্যবহার আজ থেকে নয়। ভাল মানের অর্গ্যানিক ঘি নানা রকম পুষ্টিগুণে ঠাসা। তাই এক দিকে যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তেমনই ত্বকের জন্যও। ঘি কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা যাবে, সে নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন দুধ-বেসনে মিশিয়ে ঘি মাখা ভাল, তো কেউ অ্যালো ভেরার সঙ্গে। তবে ত্বক চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘি যদি বিশেষ পদ্ধতিতে রাতে মাখা যায়, তা হলে আর কোনও প্রসাধনীরই দরকার পড়বে না। ত্বক জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ডি এবং ই। ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সক্ষম এই সব ভিটামিন। ঘি অকালবার্ধক্যকে রোধ করে। বয়সজনিত ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় ঘি। নিয়মিত ব্যবহারে বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলি হয়, সেগুলি চলে যাবে। তবে ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে বা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এবং তাতে র্যাশ থাকলে ব্যবহার না করাই ভাল।
আরও পড়ুন:
ঘি স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। রাতে মুখ ধোয়ার পরে এক কাপ মুসুর ডাল বাটা, দু’চামচ চন্দনের গুঁড়ো, এক চা চামচ কাঁচা হলুদবাটা এবং তিন চামচ ঘি মিশিয়ে মুখে-গলায়-হাতে মেখে নিয়ে কুড়ি মিনিট পরে ভাল করে ধুয়ে নিলেই ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে। মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরবে। এর পরে মুখে গোলাপজল মেখে নিলেই ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে।
আরও এক পদ্ধতি রয়েছে। এক চামচ দেশি ঘিয়ের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে-গলায়, হাতে-পায়ে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এর পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। রাতে শোয়ার আগে ঘি দিয়ে তৈরি এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে, সকালে উঠে দেখবেন ত্বক নরম ও মসৃণ হয়ে গিয়েছে। চোখের তলায় কালি থাকলে তা উঠে যাবে। রোদে পুড়ে যাঁদের ত্বকে কালচে ছোপ পড়েছে, তাঁরা নিয়মিত ত্বকে ঘি মাখলে উপকার পাবেন। ঘিয়ের সঙ্গে চিনি, লেবুর রস, হলুদ এবং বেকিং সোডা মিশিয়েও মুখে মাখতে পারেন। এতেও দাগছোপ দ্রুত উঠে যাবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ত্বকে অ্যালার্জি বা কোনওরকম সংক্রমণ হলে ঘি না মাখাই ভাল। সে ক্ষেত্রে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।