প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায়? বদল আনুন খাদ্যাভ্যাসে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে করতে পারেন মিলিটারি ডায়েট। এই খাদ্যাভাসে শরীরের বিপাক হার বাড়বে এবং ওজন কমবে দ্রুত। সুখবর— সপ্তাহের প্রত্যেক দিন এই ডায়েট না মানলেও চলবে!
কী এই মিলিটারি ডায়েট?
নামে মিলিটারি থাকলেও, এর সঙ্গে মিলিটারিদের খাদ্যাভ্যাসের কোনও মিল নেই। এটি একটি কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস। সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে ৩ দিন এই খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে, আর বাকি ৪ দিন যে স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস মেনে খান, সেটাই খেতে হবে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এই খাদ্যাভ্যাসে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি এই তিনেরই পরিমাণ কম থাকবে। এই খাদ্যাভাসে মেনে চললে ১ মাসেই ১৩-১৪ কেজি ওজন কমাতে পারবেন। এই খাদ্যাভ্যাসে প্রাত্যহিক ক্যালোরির পরিমাণ ১০০০-এর বেশি হবে না।
কী ভাবে করবেন?
সারা দিন খুব বেশি করে জল খেতে হবে। সঙ্গে বার দুয়েক কফি বা চা চলতে পারে। দিনে তিন বার খাবেন। সকালের জলখাবারে আঙুর, পাঁউরুটি টোস্ট, পিনাট বাটার, চা-কফি, ডিম, কলা, চিজ, আপেল এগুলো খেতে পারেন। দুপুরে টুনা মাছ, টোস্ট, কফি-চা, সিদ্ধ ডিম, চিজ এই জাতীয় খাবার খান। রাতে মাংস, বরবটি, কলা, আপেল, আইসক্রিম, ব্রকোলি, গাজর, টুনা মাছ ইত্যাদি চলতে পারে।
কী সুবিধে হবে এই খাদ্যাভ্যাসে?
১) কম সময়ে অনেকটা ওজন কমানো যেতে পারে।
২) এই খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর নানা রকমের খাবার লাগে না। সামান্য কয়েকটা জিনিসেই করা সহজ।
৩) সপ্তাহে রোজ এক রকম খাবার খেতে হচ্ছে না। বাকি ৪টে দিন নিজের পছন্দমতো খাবার খেতে পারছেন।
৪) মূলত উচ্চ প্রোটিনজাতীয় এই খাদ্যাভ্যাসে পেশি শক্তিশালী হয়। বিপাক হারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে পেশির তন্তগুলো।
৫) পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ। শারীরিক শক্তি পাওয়া যায়।
তবে খুব বেশিদিন এই ডায়েট না করাই ভাল। শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টিগুণের অভার হতে পারে। যতটা প্রয়োজন ওজন কমিয়ে বাকি সময়টা শরীরচর্চা এবং স্বাবাভিক স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন ধরে রাখাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy