রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় অতিরিক্ত চিনি। প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বার বার বলছেন চিকিৎসকরা। খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে চেষ্টা করছেন অনেকেই। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিজ্ঞানী-- প্রত্যেকেই বলছেন সুষম আহারের কথা।
লকডাউনে বাড়ি বসে একের পর এক চকোলেট বার সাবাড় করেছেন অনেকেই। বার বার চা-কফিও চলেছে। রসগোল্লা, কালাকাঁদ সহ নিত্যনতুন মিষ্টিও বানিয়েছেন প্রতিনিয়ত।কিন্তু এই চিনি বা মিষ্টি বিপদ ডেকে আনছে। সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
এই প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিনে পাঁচ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। কারণ চিনি কম খেলেই সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকার কথা। মিষ্টি বেশি খেলে বাড়বে ওজন। সে ক্ষেত্রে কো-মর্বিডিটি তৈরি হবে। কো-ভিড সংক্রমণ-সহ নানা রকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।"
আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে চিনাবাদাম, জেনে নিন কতটা আর কী ভাবে খাওয়া উচিত
তাঁর মত, এম্পটি ক্যালরি জমে ওজন বেড়ে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। তবে শুধু চিনি নয়। করোনো সহ যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে চিনি, নুন, তেল- খাবারে এই তিনটির নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দিতে বলছেন সুবর্ণবাবু। চিনি খেলে বাড়ে ওজন, নুনে বাড়ে রক্তচাপ। হাইপারটেনশনের সমস্যা দেখা যায়। শুধু সংক্রামক রোগ নয়, এই তিনটি উপাদানে নিয়ন্ত্রণ না আনলে পরবর্তীতে অসংক্রামক রোগ যেমন কার্ডিয়ো-ভাসকুলার ডিজিজের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান সুবর্ণ বাবু।
আরও পড়ুন: হাই ব্লাড প্রেসারে ভয়াবহ হতে পারে কোভিড সংক্রমণ
এই প্রসঙ্গে পুষ্টিবিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তী বলছেন, "চিনি যে কোনও আকারেই ক্ষতিকারক। চিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খানিকটা হলেও কমিয়ে দেয়। চায়ের সঙ্গে সকালে দু চামচ চিনির থেকেও বেশি বিপজ্জনক লুকিয়ে থাকা চিনি। অর্থাৎ কেক-পেস্ট্রি-বিস্কুটের চিনি।সুগার ৬৩ রকমের। তাই মল্টোজ, ডেক্সট্রোজ বা যে কোনও ধরনের সুগার শরীরের মধ্যে বেশি পরিমাণে গেলেই তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।"
আরও পড়ুন: এই গাছের শিকড়েই জব্দ হবে করোনা?
করোনা আবহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিনি থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সতর্ক করেছেন নুন এবং তেলের পরিমাণের বিষয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy