ঘড়িতে ক’টা বাজে দেখতে গিয়ে শুধু এক বার ঘাড়টা ঘুরিয়েছেন, ব্যস! চোখের নিমেষে দুধ উথলে একাকার অবস্থা। রোজ এই এক কাণ্ড!
ফুটন্ত দুধ উথলে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে দেখে এক বারই আনন্দ পেয়েছিলেন। বিয়ের পর প্রথম বার শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার সময়ে নতুন বৌ হিসাবে সেই রীতি পালন করতে হয়েছিল। তা দেখতে নতুন বৌকে ঘিরে ভিড়ও জমেছিল বেশ। কম সময়ে দুধ উথলে ওঠায় যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু, ওই এক দিনই!
তার পর থেকে দুধ ফোটাতে গিয়ে যত বারই উথলে গ্যাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তত বারই দূর থেকে উড়ে এসেছে গঞ্জনা। গ্যাস পরিষ্কার করতে গিয়ে মাথার ঘাম রীতিমতো পায়ে ফেলার জোগাড় হয়। গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, যাতে উথলে পড়ার আগেই গ্যাস বন্ধ করে দিতে পারেন। কিন্তু কোথায় কী! এক সেকেন্ডের মধ্যেই যা ঘটার তা ঘটে যায়। তবে অভিজ্ঞেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার টোটকা হাতের কাছেই আছে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে দুধ ফোটালে তা উথলে উঠবে না?
প্রথমে পরিষ্কার একটি পাত্রে দুধ গরম হতে দিন। পাত্রের ধার বরাবর ধীরে ধীরে বুদ্বুদ জমতে শুরু করবে। তার উপর পরিষ্কার, ছোট্ট একটি স্টিলের পাত্র ভাসিয়ে দিন। তাতে দুধ ফুটবে, কিন্তু কোনও ভাবেই উথলে পড়বে না। তবে এর নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। ফুটন্ত দুধের অতিরিক্ত তাপ সঞ্চারিত হয় স্টিলের পাত্রটিতে। আর তাতেই রুখে দেওয়া যাবে দুধের উথলে পড়া। তবে খেয়াল রাখবেন পাত্রটি যেন খুব ভারী না হয়। কারণ, পাত্রটি ভারী হলে দুধের বাটির মধ্যে তা সহজেই ডুবে যাবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই টোটকা কাজ করবে না।
আর কী কী মাথায় রাখতে হবে?
গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখতে হবে। মিনিট দুয়েক অন্তর হাতা দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে পারলে ভাল হয়। খেয়াল রাখতে হবে, দুধের উপর ফেনা যেন জমতে না পারে। দুধের পরিমাণ অনুযায়ী পাত্র নির্বাচন করতে হবে। তাতে দুধ উথলে পড়ার আশঙ্কা থাকবে না। পাত্র বড় হলে ফুটন্ত দুধের তাপমাত্রা ছড়িয়ে যেতে পারে সহজেই।