‘সব পেয়েছির আসর’ সেই অটোরিক্সা। ছবি- টুইটার।
শহরে হোক বা শহরের বাইরে, অটোর দৌরাত্ম নিয়ে যাত্রীদের নাকাল হতে হয়নি, এমন ঘটনা বোধহয় হাতে গুনলে পাওয়া যায়। কলকাতা ছাড়া দেশের অন্য বড় শহরে আবার অটোরিক্সাও মিটারে চলে। কিন্তু তার পরেও অনেক বচসা বেঁধে যায় যাত্রী এবং অটোচালকদের মধ্যে। মিটারে যত টাকা দেখায়, তার চেয়ে ৫০ বা ১০০টাকা বেশি চেয়ে নেওয়াটা যেন চালকদের ন্যায্য অধিকারের মধ্যে পড়ে।
চারিদিকে এমন অবাঞ্ছিত নানা ঘটনার মধ্যেও একেবারে ভিন্ন স্বাদের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর অটোচালক রাজেশ, যাত্রীদের প্রয়োজনে লাগতে পারে সে কথা ভেবেই নিত্য প্রয়োজনীয় এমন ছোটখাট বহু জিনিসই মজুত রাখেন তাঁর অটোতে। যেমন ধরা যাক অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তীব্র মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, সেই যন্ত্রণা নিয়েই রাজেশের অটোতে উঠেছেন। ওষুধের দোকান খুঁজতে হবে না, হাতের কাছেই যন্ত্রণা উপশম করার বাম পেয়ে যাবেন।
আবার ধরা যাক ছোট কোনও খুদেকে নিয়ে ওই অটোতে সফর করছেন, কোনও কারণে সে লজেন্স খাওয়ার বায়না জুড়ে বসেছে, এ বার চলন্ত অটো থামিয়ে দোকান খুঁজবেন কোথায়? দরকার নেই, অটোতেই রয়েছে এই রকম টুকিটাকি যাবতীয় জিনিস। শুধু লজেন্স বা বিস্কুট নয়, রাজেশের অটোতে রয়েছে জলের বোতল, স্যানিটাইজার, ব্যান্ডেড, চকোলেটের মতো বহু প্রয়োজনীয় জিনিস। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ যাত্রা পথে অটোতে বসে সময় নষ্ট করতে না চাইলে রাজেশের অটোতেই পেয়ে যাবেন ছোট ছোট বই।
সবচেয়ে বড় কথা, এ সব কিছুর বিনিময়ে বাড়তি একটিও পয়সাও নেন না রাজেশ। রাজেশের এই মনোভাবে আপ্লুত বেঙ্গালুরুবাসী। নেটাগরিকদের বক্তব্য, অ্যাপচালিত অন্যান্য চারচাকার যানগুলিতে এই রকম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি রাখার সুবিধা থাকলেও তারা দিনের পর দিন শুধু দাম বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু তাঁরা কখনও যাত্রী সুবিধার্থে এই রকম অভাবনীয় কিছু ভাবেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy