Advertisement
E-Paper

মেপে খেয়েও ওজন কমছে না? মেদ ঝরাতে শাহিদ কপূরের পন্থা মেনে দেখুন

অভিনেতাদের মতো সুঠাম চেহারা পেতে চান অনেকেই। ডায়েট করেন। জিমেও যান। তবে তার পরেও কারও কারও ক্ষেত্রে লক্ষ্যলাভ অধরা রয়ে যায়। লক্ষ্যপূরণে কী করা দরকার?

অভিনেতা শাহিদ কপূর কী ভাবে এত ফিট?

অভিনেতা শাহিদ কপূর কী ভাবে এত ফিট? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩০
Share
Save

বড়া পর্দার পর সম্প্রতি ওটিটি-তে মুক্তি পাচ্ছে শাহিদ কপূরের ‘দেবা’। সিনেমায় পুলিশ অফিসার শাহিদের সুঠাম শরীর নজর কেড়েছে অনেকেরই। ৪৪- এ পা দিয়েও তিনি যেন তরুণ। তাঁর নির্মেদ, পেশিবহুল চেহারাও যথেষ্ট চর্চিত।

অভিনেতাদের মতো এমন চেহারা পেতে চান অনেকেই। ডায়েট করেন। জিমেও যান। তবে তার পরেও কারও কারও ক্ষেত্রে লক্ষ্যলাভ অধরা রয়ে যায়। আসলে শুধু জিমে যাওয়া বা ডায়েট নয়, দৈনন্দিন জীবনযাপনেও লুকিয়ে থাকে ফিট থাকার মন্ত্র, বিশ্বাস করেন অভিনেতা। বিভিন্ন সময়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনযাপন নিয়ে কথা বলেছেন শাহিদ। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি রাত আটটার মধ্যে নৈশভোজ সারেন। রাত জেগে পার্টি করেন না। মাঝরাতে উঠে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তবে দিনভর নিয়ম মানলেও, বেশি রাতে কারও কারও উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা অনেক সময় ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে ওঠে, বলছেন পুষ্টিবিদেরা। সবটাই যে খিদে পায় বলে, তা কিন্তু নয়। চোখের খিদেও লুকিয়ে থাকে এতে।

ফিটনেস প্রশিক্ষক প্রীতি ত্যাগির কথায়, কাজের চাপে রাত জাগতে হলে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা ক্ষতিকর। স্বাভাবিক ভাবে ভাজাভুজি বা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলছেন, ‘‘মন,মেজাজ খারাপ থাকলে তার নেপথ্য কারণে নজর না দিয়ে, অনেকেই ফ্রিজ খুলে খাবার খুঁজতে থাকেন। মন ভাল করতে লোভনীয় খাবার খাওয়াটা সমাধান হতে পারে না।’’

বরং ওজন কমাতে এবং ফিট থাকতে শাহিদ কপূরের মতোই দ্রুত রাতের খাওয়া শেষ করতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা। খেতে বলছেন পরিমিত। তার কারণও আছে। পুষ্টিবিদ সোনিয়া বক্সী জানাচ্ছেন, রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে দেহে ফ্যাট জমে। স্বাভাবিক ভাবেই ওজন বেড়ে যায় এতে। ঘুমোনোর অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা আগে নৈশভোজ শেষ করা উচিত। এই অভ্যাসে যেমন বদহজম এড়ানো যায় তেমনই ঘুমের সমস্যাও কমে। আর ঘুমের সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের, এমনকি ওজন কমারও যোগ রয়েছে।

আর এক পুষ্টিবিদ স্বাতী সন্ধান বলছেন, ‘‘ওজন বশে রাখতে হলে নিয়ম মেনে এবং সময়ে খাওয়া জরুরি। রাত সাত-আটটার মধ্যে খাওয়া শেষ করলে ক্যালোরি যেমন দ্রুত খরচ হবে তেমনই পুষ্টি শোষণেও সুবিধা হবে।’’ এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। ঘুমিয়ে পড়লে স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকহারের গতি কমে যায়। যার ফলে খাবার হজমে যেমন সমস্যা হয়, তেমনই ওজন বৃদ্ধিরও ভয় থাকে। সে কারণেই রাত আটটার মধ্যে রাতের খাওয়া খেয়ে নেওয়া ফিটনেসের জন্য জরুরি।

Fitness Weight Loss Tips

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}