বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে একসঙ্গে অনেকগুলি কল জুড়ে কথা তো হয়ই। কল মার্জিং এখন খুবই সাধারণ বিষয়। পেশাগত কারণে হোক বা বন্ধুদের আড্ডায়, কল মার্জিং হয়েই থাকে। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তিগত বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে। কারণ ‘কল মার্জ’-এর সুবিধা নিয়েই প্রতারণার নতুন কৌশল রপ্ত করে ফেলেছে সাইবার অপরাধীরা।
কল মার্জিং নিয়ে কী ধরনের জালিয়াতি চলছে?
ন্যাশনাল পেমেন্ট’স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনসিপিআই) জানাচ্ছে, প্রতারকেরা আগে থেকেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ নিয়ে রাখবে। এ বার আপনাকে ফোন করে বলবে যে, আপনার ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি কথা বলতে চাইছেন এবং তিনি কলটি মার্জ করবেন। আপনি না ভেবেই অনুমতি দিলে এবং কলগুলি মার্জ করা সঙ্গে সঙ্গেই দেখবেন, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক টাকা বেরিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
আরও একটি পদ্ধতিতে জালিয়াতি চলছে। প্রতারক আপনাকে ফোন করে জানাবে যে, আপনারই কয়েক জন বন্ধু ফোন কলটি জুড়তে চাইছেন। আপনি কল মার্জের অনুমতি দিলেই, ফাঁদে পড়ে যাবেন। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেবে প্রতারকেরা।
কী ভাবে তা সম্ভব?
আপনি যে কলগুলি জুড়ছেন, সেগুলি কোনও ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির বা বন্ধুর ফোন কল নয়, বরং ওটিপি ভেরিফিকেশন কল। প্রতারকেরা কলটি জুড়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে ভয়েস ওটিপি জানানো হবে, তা তারা শুনে নেবে। এর সাহায্যেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেবে।
সাবধানে থাকতে কী করবেন?
এনসিপিআই জানাচ্ছে, একমাত্র আত্মীয়-পরিজন বা বন্ধুদের চেনা নম্বর ছাড়া অচেনা নম্বর থেকে কোনও ফোন এলে তা মার্জ করবেন না।
কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে, তা যাচাই করে নিতে হবে আগে। প্রতারক যতই অনুরোধ করুক না কেন, কোনও ভাবেই কল জুড়ে নেওয়ার অনুমতি দেবেন না।
ব্যাঙ্ক কখনওই ফোন করে ওটিপি জানতে চাইবে না। তাই কোথা থেকে ফোনটি এসেছে, তা যাচাই করে নিতে হবে।
ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সব সময়েই টু-ফ্যাক্টর-অথেন্টিকেশন চালু রাখুন। এতে অনেক বেশি নিরাপদ থাকা যাবে।