ফুল আর জলে মিলে বিয়েবাড়ির গ্রীষ্মসাজ।
ভর গরমে বিয়ে? ঘামে লিপস্টিক, কাজল, চন্দন গলে গিয়ে সব ছবি খারাপ হয়ে যায় যদি? তবে কী হবে? ইনস্টাগ্রামে বিয়ের চমকটা দেওয়া যাবে কী ভাবে? এমন কোনও পথ তো বার করতে হবে যাতে কষ্ট যতই হোক, তবু বিশেষ দিনের জাঁকজমকটা ধরা থাকে নেটমাধ্যমে।
বাঙালি বিয়ে শীতেই হোক বা গ্রীষ্ম-বর্ষায়, সব সময়েই ঝলমলে। হাজার রীতি-রেওয়াজ। সারা জীবনের সবচেয়ে চকমদার ছবিগুলো যে এই সময়েই হবে। লাল বেনারসি, ধুতি পাঞ্জাবি, গায়ে হলুদ, শুভদৃষ্টি— চোখ ধাঁধানো সব ছবি কিন্তু এই সময়েই হতে পারে। হয়েও তাই। আর তা ছাড়া এখন তো পুরহিত এক বার বিয়ে দিলে, চিত্রগ্রাহক আরও তিন বার বিয়ে দেন। সবচেয়ে ভাল ছবিটার জন্য কমপক্ষে বার চারেক সিঁদুর দান হয় যে এখন। আর সেই সব কি মাঠেমারা যাবে শুধু গ্রীষ্মের কঠিন তাপমাত্রার কারণে?
তবে গ্রীষ্ককালে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে হলে এমন কিছু চমক থাকুক, যা মরসুমের সঙ্গে মানানসই। আর যাতে ছবিও হবে অন্য রকম। যেমন পুলের ধারে করা যায় অনুষ্ঠানের একটা বড় অংশ। নীল জল আর লাল শাড়িতে মিলে এক্কেবারে আলাদা হবে বিয়ের ছবি। যে সব বাড়ির বিয়েতে কুঞ্জ সাজানো হয়, জলের ধারে বিয়ে হলে সেই ছবি আরও ভাল হবে। গোটা জায়গাটা সাজানোর পরে দূর থেকে একটা ছবিই ইনস্টাগ্রামে তাক লাগিয়ে দেবে।
এরই সঙ্গে আমন্ত্রিতদের জন্য রাখা যায় পুল পার্টি। পুলের ধারে নয়। সুইমিং পুলে নেমেও হইহই করা যায় তো দিনের বেলাটায়। ধরুন গায়ে হলুদের ঠিক পরে। মকটেল সহযোগে খান কয়েক ছবি যদি হয় পুলের নীল জলে নেমে। কেমন হবে? ইনস্টাগ্রাম পুরস্কারও ঘোষণা করে দিতে পারে সেই বিয়েবাড়ির জন্য। আসলে গ্রীষ্মের আমেজের সঙ্গে নীল জলের বন্ধুতা যে কোনও দিনই নতুন মাত্রা দিতে পারে ছবিকে।
জলের পরেই আসুক ফুল। ফুল মানে ফুলের সাজ। গরমের মধ্যে জড়ি-চুমকি, ভারী গয়না পরে যেমন গরম লাগে, তেমনই সেই সাজের ছবি দেখেও অনেক সময়ে অস্বস্তি হয়। ছবি যাতে হয় মনোরম, তাই গ্রীষ্মের বিয়ের সাজে থাকুক অনেক ফুল। সাদা, হলুদ বা লাল ফুলের গয়নায় ছবি সুন্দর হয়। সঙ্গে চোখের আরাম হবে।
গরমে বিয়ে করলে কষ্ট যত থাকুক, নেটমাধ্যমে স্মৃতিরক্ষা তো সুন্দর হতেই হবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy