পোষ্যপ্রেমী মহলে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে হ্যামস্টার। ইঁদুর গোত্রের প্রাণী হলেও, ভারতে পোষ্য হিসেবে একে রাখার প্রচলন শুরু হয়েছে হালে। মূলত সোনালি রঙের সিরিয়ান হ্যামস্টার পোষ্য হিসেবে জনপ্রিয়।
একে পোষার আগে, মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি কথা।
- খুব মিষ্টি প্রাণী হলেও, হ্যামস্টার কামড়ে দিতে পারে। যদিও তাতে মানুষের আঘাত লাগার বড় আশঙ্কা নেই। কিন্তু খুব ছোট শিশুর হাতে কামড়ে দিলে রক্তপাত হতে পারে। তাই ছোট শিশুর থেকে এদের দূরে রাখাই ভাল।
- এই প্রাণীরা পড়ে থাকা খাবার খেতে পছন্দ করে না। ওরা যতটা খাবে, খেতে দিন। তার পরে যা পড়ে থাকবে, তা খাঁচা থেকে সরিয়ে দিন।
- অনেকেই বলেন, হ্যামস্টারকে স্নান করানো, তার লোম আঁচড়ে দেওয়া দরকারি। কিন্তু এর কোনও প্রয়োজন নেই। হ্যামস্টার নিজের যত্ন নিজেরাই নিতে পারে।
- হ্যামস্টারদের প্রতিদিন কিছুটা শরীরচর্চা দরকার। এ জন্য খাঁচায় বিশেষ ধরনের চাকা রাখার ব্যবস্থা করা যায়। হ্যামস্টার এই চাকার ভিতরে দৌড়তে পারে।
- হ্যামস্টারের শোওয়ার জায়গা বানাতে হবে ঘাস বা প্রাকৃতিক কোনও বস্তু দিয়ে। প্লাস্টিক বা অন্য কোনও বস্তু ব্যবহার করা উচিত নয়।
- হ্যামস্টার ছোট বয়সে তার ভাই-বোনেদের সঙ্গে থাকা নিয়ে খুব সমস্যা তৈরি করে না। কিন্তু একটু বড় হয়ে গেলেই তারা মারপিট করতে পারে। এমনকি এই লড়াইয়ে তাদের প্রাণহানিও হতে পারে। তাই বড় হওয়ার পরে হ্যামস্টারকে একাই রাখা উচিত।
- সদ্যোজাত হ্যামস্টারকে বেশি দিন তাদের মায়ের সঙ্গে রাখা উচিত নয়। কারণ অনেক সময় হ্যামস্টার মা তার সন্তানদের মেরে ফেলতে পারে।
- হ্যামস্টার সব সময় কিছু না কিছু চিবতে পছন্দ করে। এমন জিনিস পোষ্যের দোকান বা অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়। এগুলি পেলে এদের মন ভাল থাকে।