সাইবার দুনিয়ার কোনটি ঠিক আর কোনটি ভুল, কী ভাবে শেখাবেন বয়স্কদের। ছবি: ফ্রিপিক।
অনলাইনে কাজকর্ম, ই-ব্যাঙ্কিং ইত্যাদিতে এখনও ভয় পান অনেক বয়স্কেরাই। ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট থেকে শুরু করে, টাকা ট্রান্সফার বা ইলেকট্রিকের বিল জমা দেওয়া... আপনি সব কাজই যথাস্থানে গিয়ে করতে ভালবাসেন। কিন্তু বাদ সাধে তাঁদের শারীরিক অবস্থা। কর্মসূত্রে ছেলেমেয়েরা হয়তো দূরে, বাড়িতে বয়স্ক দম্পতি একাই থাকেন, তখন ডিজিটাল প্রযুক্তির খুঁটিনাটি শিখে রাখলে অনেক সুবিধা হয়। ছোট্ট স্মার্টফোনের স্ক্রিন ছুঁয়ে বা কম্পিউটারের কি-বোর্ডের বোতাম চেপেই এক নিমেষে সেরে ফেলা যায় হাজারো কাজ। কী ভাবে বাড়ির বয়স্কদের ডিজিটাল প্রযুক্তির পাঠ দেবেন? সাইবার দুনিয়ার কোনটি ঠিক আর কোনটি ভুল, তা-ও শেখাতে হবে ধৈর্য ধরেই।
কী কী বোঝাবেন?
১) অনলাইন অ্যাপে কী ভাবে টাকাপয়সার লেনদেন করা যায়, তা শিখিয়ে দিন। বলতে ভুলবেন না, বেশির ভাগ অ্যাপই কিন্তু লেনদেনের সময় কার্ডের খুঁটিনাটি সেভ করে রাখার অপশন দেয়। এটি এড়িয়ে চলাই ভাল। একটু সময় লাগলেও প্রত্যেক বার লেনদেনের সময় নতুন করে কার্ডের বিস্তারিত দিয়ে লেনদেন করতে শেখান।
২) কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস সফ্টঅয়্যার ইনস্টল করে দিন। মোবাইলেই হোক কিংবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে, লেনদেনের অ্যাপ যেন সুরক্ষিত থাকে তা শিখিয়ে দিন। কোনও অচেনা অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল।
৩) নিজের এটিএম পিন, ব্যাঙ্কের এমপিন কাউকেই জানাবেন না। ব্যাঙ্ক অ্যাপের পাসওয়ার্ড কয়েক দিন ছাড়া-ছাড়া বদলে দিন। লেনদেনের সময় সবসময়ে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড চাইছে কি না, দেখে নিন। ৪) অজানা নম্বর থেকে কোনও লিঙ্ক এলে বা ইমেল করা হলে তা একেবারেই খুলে দেখবেন না। জানবেন এগুলি সবই নিয়ন্ত্রণ করছে হ্যাকারেরা। যে মুহূর্তে আপনি লিঙ্ক খুলবেন বা প্রতারকদের পাঠানো কোনও ফর্ম ভরে টাকা দিতে যাবেন, সেই মুহূর্তে আপনার নাম, ঠিকানা, ব্যাঙ্কের বিস্তারিত বিবরণী হ্যাকারদের কাছে পৌঁছে যাবে।
৫) ব্যাঙ্কের কাজই বলুন বা বিলের টাকা মেটানো— সাইবার ক্যাফে থেকে কার্ডের তথ্য দিয়ে লেনদেন না করাই ভাল। কারণ এগুলিতে তথ্য চুরির সম্ভাবনা থেকে যায়।
৬) ফোনে অনেক ভুলভাল নম্বর থেকে স্প্যাম মেসেজ আসে। সেগুলি কখনও খুলে দেখবেন না। অথবা সেখানে থাকা নম্বরে ফোন করবেন না।
৭) অপরাধীরা প্রতারণার পদ্ধতি ঘন ঘন বদলে ফেলছে। আগে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ডের পিন জেনে প্রতারণা চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে ‘কেওয়াইসি’ করার নাম করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। অচেনা নম্বর থেকে এমন কোনও ফোন এলে কখনওই ব্যক্তিগত তথ্য জানাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy