তাড়াহুড়েোতেও তাড়া থাকবে না, কোন কৌশলে রান্না করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালের প্রস্তুতি পর্ব বহু মহিলার কাছেই যেন যুদ্ধক্ষেত্র। খুদের স্কুলের তাড়া। স্বামীর অফিস। নিজের কর্মক্ষেত্র। তার উপর বাড়ির বয়স্কেরা। রান্না, খাবার দেওয়া, গোছগাছ করতে করতে বহু মহিলারই মনে হয়, দুর্গা ঠাকুরের মতো দশ হাত হলে ভাল হত।
এই সময় একটা বড় কাজ থাকে রান্না। দ্রুত সেই রান্না শেষ করতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকেই। কয়েকটি কৌশলে অবশ্য এই কাজ সহজ হতে পারে।
রন্ধনপ্রণালী
সব্জি একই রান্নার ধরন আলাদা। তাড়াহুড়োয় রান্না করতে হলে এমন কোনও রন্ধনপ্রণালী বেছে নিন, যেখানে ঝক্কি ছাড়াই কম সময়ে রান্না হয়ে যায়। যেমন মাছের কালিয়ার বদলে, ভাপা মাছ কিংবা মাছের ঝাল করে নিলে সময় কম লাগবে, খুন্তিও কম নাড়তে হবে। মাংস হোক বা সব্জি, সংক্ষিপ্ত রান্নার পদ্ধতি খুঁজে নিন।
জোগাড়
রান্না করার চেয়ে তার জোগাড় বেশি খাটনির। সব্জি কাটা, পেঁয়াজ কাটা, আদা-রসুন বাটা, রুটি বা পরোটা করতে হলে ময়দা মাখা। পর দিন যে রান্না হবে, তা ঠিক করে কিছুটা জোগাড় আগের রাতে করে নিলে সময় বাঁচে, রান্নাও দ্রুত করা যায়। বিশেষত আদা-রসুন বাটা থাকলে কাজে খুব সুবিধা হয়।
হাতের কাছে জিনিস
রান্নার সময় যদি হাতের কাছে জিনিস না পাওয়া যায়, কাজে অসুবিধা হয়ে যায়। তার পর যদি দেখেন, সেই জিনিসটি ফুরিয়ে গিয়েছে, তা হলে তো কথাই নেই। মশলাপাতি, সব কিছু মজুত আছে কি না, আগে থেকে দেখে নিন। কোনও কিছু শেষ হওয়ার আগেই কিনে, নির্দিষ্ট জায়গায় ঢেলে রাখুন।
এক পদ
যে দিন খুব বেশি তাড়াহুড়ো, সেদিন রকমারি পদ না বানিয়ে এমন কোনও খাবার বানিয়ে নিন যেটা শুধু খাওয়া যায়। সেই তালিকায় খিচুড়ি, ফ্রায়েড রাইস, পোলাও বা এমন কিছু রাখতে পারেন যা একবারে রেঁধে ফেলা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy