কাঠবাদামের খোসা ফেলে না দিয়ে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিয়ম করে জলে ভেজানো কাঠবাদাম খান। কিন্তু তার খোসাটি মোটেই হজম করতে পারেন না। তাই সেগুলি ফেলে দেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কাঠবাদামের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই অনেকে হয়তো তা হজম করতে পারেন না। তাই বলে খোসাগুলি ফেলে দেওয়ার কিন্তু কোনও কারণ নেই। কাঠবাদামের খোসা সরাসরি না খেলেও অন্য ভাবে তা কাজে লাগানো যেতে পারে।
কাঠবাদামের খোসা কোন কোন কাজে লাগে?
১) কাঠবাদামের খোসা দিয়ে তৈরি করতে ফেলতে পারেন স্ক্রাব। প্রাকৃতিক এই উপাদানের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে এটি। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে। কাঠবাদামের খোসার সঙ্গে আর কী কী মেশাতে হবে?
ছোট একটি পাত্রে কাঠবাদামের খোসা, নারকেল তেল এবং সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে মাখা যেতে পারে। হালকা হাতে মাসাজ করে নিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ কাঠবাদামের খোসা দিয়ে পুষ্টিকর পানীয়ও তৈরি করা যায়। প্রদাহ নাশ করতে, হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়টি। পাত্রে জল ফুটে উঠলে তার মধ্যে কাঠবাদামের খোসাগুলি দিয়ে দিন। চাইলে এক টুকরো আদা, দারচিনিও দেওয়া যেতে পারে। স্বাদের জন্য অনেকে এই পানীয়ে মধুও মেশান। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাইলে ক্যাফিন-মুক্ত এই পানীয়ে চুমুক দেওয়া যেতে পারে।
৩) শুধু মানবদেহের নয়, গাছেদের সার হিসাবেও কাঠবাদামের খোসা ব্যবহার করা যায়। যে হেতু এই উপাদানটি মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যায়, তাই সেখান থেকে পরিবেশে কোনও রকম দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কাও থাকে না। সার তৈরি করতে প্রথমে বাদামের খোসা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। চাইলে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। আনাজের খোসা, ডিমের খোসা, ফেলে দেওয়া চা পাতার সঙ্গে কাঠবাদামের খোসা মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি করে গাছের গোড়ায় দেওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy