দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি এবং বালুতট জুড়ে থিকথিক করা গোলাপি ফ্ল্যামিংগো সারসই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। ছবি- সংগৃহীত
দক্ষিণ অমেরিকার ক্যারিবীয় সাগরের উপকূল জুড়ে ৭০০টিরও বেশি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ। তারই মধ্যে একটি হল বনেয়ার। এখানকার দিগন্তবিস্তৃত নীল জলরাশি এবং বালুতট জুড়ে থিকথিক করা গোলাপি ফ্ল্যামিংগো সারসই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। ফ্ল্যামিংগো সংরক্ষণের জন্য ২০১৮ সালে এলি অ্যালবার্স নামক এক পক্ষীপ্রেমী এই দ্বীপেই তৈরি করেছিলেন ‘বনেয়ার ওয়াইল্ড বার্ড রিহ্যাব’।
শোনা যায়, এই দ্বীপের মোট জনসংখ্যার চেয়ে নাকি পাখির সংখ্যা বেশি। কিন্তু প্রাকৃতিক দৃশ্যের এমন সম্ভার থাকা সত্ত্বেও অদ্ভুত ভাবে প্রচারের আলো পৌঁছয়নি এখানে। কারণ, এই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারাই সচেতন ভাবে তা হতে দেননি।
নেদারল্যান্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এই দ্বীপে মাত্র ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮০০ জন পর্যটকের পা পড়েছে। যার ২৫ শতাংশ হল সেই দেশের বাসিন্দা।
বেশির ভাগ দেশের পর্যটনস্থলগুলি হল ব্যবসার মূল আখড়া। কিন্তু এ দেশে ব্যবসা তো দূর, মানুষের আনাগোনা এতই কম যে, রাস্তার মোড়ে কোনও ট্র্যাফিক সিগন্যালও রাখারও প্রয়োজন পড়ে না। নেই নিয়ম ভাঙার শাস্তিও। অথচ সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে সাধারণত যে ধরনের বিনোদনমূলক খেলাধুলোগুলি থাকে, যেমন ‘স্নোরকেলিং’, ‘স্কুবা ডাইভিং’-এর ব্যবস্থা রয়েছে। এমন ম্যানগ্রোভ এবং প্রবাল প্রাচীর বিস্তৃত প্রাকৃতিক বিচ পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ।
‘বোনেয়ার ট্যুরিস্ট কর্পোরেশন’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা চাই এখানে পর্যটক আসুক। কিন্তু পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করে।”
পর্যটকদের উদ্দেশে জানানো হয়েছে যে, এই দ্বীপে করোনা সংক্রান্ত কোনও বিধিনিষেধ নেই। শুধু যথাযথ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেই হবে। এ ছাড়া, এখানে আসারও খুব একটা অসুবিধা নেই। মায়ামি বা অ্যাটলান্টা থেকে বোনেয়ারে পৌঁছনোর সরাসরি বিমান পরিষেবাও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy