সমাজে বদল আনতে স্নান না করার সিদ্ধান্ত প্রৌঢ়ের!
স্নান করার নাম শুনলেই অনেকেরই অনীহা জাগে। বিশেষত শীতকালে এই অনীহা আরও বেড়ে যায়। তবে একজন মানুষ সর্ব্বোচ্চ কতদিন বিনা স্নান করে কাটাতে পারেন? দু দিন? এক সপ্তাহ? দশ দিন? ৬২ বছর বয়সি বিহারের এক প্রৌঢ় টানা ২২ বছর ধরে স্নান করেননি। প্রায় দু’ দশক ধরে স্নান না করেও দিব্য আছেন বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা ধর্মদেব রাম!
তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি? কারণটা শুনলে অবাক হবেন। ওই ব্যক্তি প্রতিজ্ঞা করেছেন যত দিন না মহিলাদের উপর অত্যাচার, নিরীহ পশু হত্যা এবং জমি নিয়ে বিবাদ বন্ধ হবে তত দিন নাকি তিনি স্নান করবেন না। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের মৃত্যুর সময়েও নিজের কঠোর প্রতিজ্ঞা থেকে সরেননি তিনি। ২২ বছর শরীরে জল ছোঁয়াননি। প্রবল গরমে ঘেমেনেয়ে একশা হলেও না!
আশ্চর্যের বিষয় হল স্নান না করেও কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা ধর্মদেবকে কাবু করতে পারেনি। তাঁকে দেখে অন্তত তেমনটাই মনে হয়।
পশ্চিমবঙ্গের জগদ্দলে একটি কারখানায় ১৯৭৫ সাল থেকে কাজ করতেন তিনি। তখন সব স্বাভাবিক ছিল। ১৯৭৮-এ বিয়েও করেন তিনি। কিন্তু ১৯৮৭ সালে হঠাৎ করেই একদিন তিনি উপলব্ধি করেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদ, মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনা এবং নিরীহ পশুদের হত্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পর তিনি এর উত্তর খুঁজতে এক গুরুর কাছে যান। সেই গুরু ধর্মদেব রামকে তাঁর শিষ্য করে নেন। এবং সেই গুরুই তাঁকে ত্যাগের পথে চলার পরামর্শ দেন। তখন থেকেই রামচন্দ্রের ধ্যান করেন ধর্মদেব রাম। এবং বন্ধ করে দেন স্নান। কেবল স্নানই নয়, খাওয়াদাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। মালিক এ ব্যাপারে জানতে পেরে কারখানার চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেন ধর্মদেবকে। সেই সময় ফের গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। তবে এর পর খাওয়া শুরু করলেও স্নান করেননি এক দিনের জন্যেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy