Advertisement
E-Paper

কোভিড-যুদ্ধ জিততে শুধু অক্সিমিটার নয়, বাড়িতে রাখতে পারেন এই যন্ত্রগুলিও

বিশেষ করে যাঁরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই যন্ত্রগুলি খুবই কাজের।

অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে পারে কিছু স্মার্টঘড়িও।

অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে পারে কিছু স্মার্টঘড়িও। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ১৩:৫৪
Share
Save

গত বছর কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকেই চাহিদা বেড়েছিল অক্সিমিটারের। অনেকেই বাড়িতে ব্যবহারের জন্য কিনে নেন এই যন্ত্র। কিন্তু শুধু সেটিই নয়, কোভিডের সময়ে খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে আরও বহু যন্ত্রই। কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তো বটেই, বিশেষ করে যাঁরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই যন্ত্রগুলি খুবই কাজের। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।

অক্সিমিটার: এই যন্ত্রের প্রসঙ্গ দিয়েই কথা শুরু হয়েছিল। এটি বর্তমান অবস্থায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্র। বাড়িতে থেকে যাঁরা কোভিডের চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এটি খুব দরকারি। নিয়মিত অক্সিজেনের মাত্রা দেখে নিয়ে তা চিকিৎসককে জানাতে হলে এই যন্ত্র লাগবেই।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর: এখনও বহু জায়গায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব রয়েছে। এ রকম অবস্থায় বাড়িতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর রাখাটা ভাল সিদ্ধান্ত। প্রাথমিক অবস্থায় অক্সিজেনের অভাব সামাল দিতে পারে এটি।

ডিজিটাল থার্মোমিটার: কোভিড আক্রান্তের শরীরের সংস্পর্শে এসে তাঁর তাপমাত্রা মাপাটা বিপজ্জনক। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করাটা সুবিধার।

অ্যালার্ট বোতাম: বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য এই যন্ত্র খুব কাজের। যাঁরা ডাকাডাকি করতে পারেন না, তাঁদের পকেটে এমন যন্ত্র থাকলে, তাঁরা বোতাম টিপে অ্যালার্ম বাজাতে পারবেন। বাড়ির অন্যরাও টের পাবেন ওই মানুষটির কোনও সমস্যা হচ্ছে।

স্মার্টঘড়ি বা ফিটনেস ব্যান্ড (যাতে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যায়): যদিও অক্সিমিটারের বিকল্প হিসেবে এগুলি ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু এমন যন্ত্র হাতে থাকলে ধারণা পাওয়া যেতে পারে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে নাকি বাড়ছে।

ইউভি স্যানিটাইজার বাক্স বা দণ্ড: এই জাতীয় যন্ত্রের অতিবেগুনি রশ্মি জীবাণু মেরে ফেলে। এই ধরনের বাক্সে বাইরে থেকে আসা জিনিস, তা সে খাবারই হোক কিংবা অনলাইনে আসা জামাকাপড় বা বই-ই হোক, ঢুকিয়ে নিলে বিনা পরিশ্রমে সেগুলি জীবাণুমুক্ত হয়। ইউভি দণ্ড দিয়েও একই ধরনের কাজ হয়।

জীবাণুমুক্ত করার জলের বোতল: এতেও অতিবেগুনি রশ্মির বন্দোবস্ত থাকে। এটি জলভর্তি অবস্থায় প্লাগে আটকে দিলে, ভিতরের জল জীবাণু মুক্ত হয়।

এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করে এখন করোনাভাইরাসকে অনেকটাই হারিয়ে দেওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, পরে অন্য রোগবালাইয়ের থেকে বাঁচতেও এগুলি কাজে লাগবে। তাই করোনা কাল পেরিয়ে গেলেও এগুলির গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে না।

gadgets COVID 19

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}