ভারী খাওয়াদাওয়ার ফলে শরীরে মেদ যেমন জমে, তেমনই বিঘ্নিত হয় হজমপ্রক্রিয়াও। ছবি: আইস্টক।
পুজোর ক’দিন সারা দিন আড্ডা, প্যান্ডেল হপিং, দৌড়ঝাঁপ ও খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম ইতিমধ্যেই কয়েকটা দিনের রুটিনকে একেবারে পাল্টে ফেলেছে। পুজোর ক’দিন ভারী খাওয়াদাওয়ার ফলে শরীরে মেদ যেমন জমে, তেমনই বিঘ্নিত হয় হজমপ্রক্রিয়াও।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞরাদের মতে, ‘‘মেদ, বিশেষ করে পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে পুজোর পর থেকেই যত্ন নিতে হয়। উৎসবের মরসুম এখনও না কাটলেও বেশ কিছু নিয়ম এখন থেকেই মানতে হবে । পুজোর পর সবে অফিসকাছারি শুরু হয়েছে, তাই হাতে খুব সময় না পেলেও কিছু কৌশল মেনে চললে জব্দ হবে শরীরের বাড়তি মেদ।’’
ন্যূনতম কিছু সময় বার করে কয়েকটা এক্সারসাইজই কমিয়ে দিতে পারে শরীরের বাড়তি মেদ। কোন কোন কসরতে ভরসা করলে এই ক’দিনের অনিয়মকে সহজ বশে আনা যাবে জানেন?
আরও পড়ুন: এ সব উপায়ে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব
প্লাঙ্ক: শরীরের মেদ কমাতে প্লাঙ্কের জবাব নেই। বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে এই কসরতটি অন্যতম সেরা। উপুড় হয়ে শোওয়ার পর হাতের পাতা ও পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে গোটা শরীরকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিন। এই সময় পেট ভিতরের দিকে টেনে ধরে রাখতে পারলে আরও বেশি উপকার পাবেন। অনভ্যস্ত শরীর হলে এক এক বারে ১৫ সেকেণ্ড করে ধরে রাখুন প্লাঙ্ক। ১৫ সেকেণ্ড করে করে প্রায় প্রায় ১০ বার করুন। অভ্যস্ত হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে প্রতি বারের সময়সীমা বাড়ান।
ক্রাঞ্চ: চিত হয়ে শুয়ে হাঁটু জোড়া ভাঁজ করুন এমন ভাবে যাতে পায়ের পাতা মাটিতে ঠেকে থাকে। এ বার হাত জোড়া মাথার পিছনে রাখুন। এর পর পেটের উপরে চাপ দিয়ে মাথাটিকে হাঁটুর দিকে নিয়ে যান। এমন অবস্থায় ৫ অবধি গুনুন । তার পর শরীরকে আগের জায়গায় নিয়ে আসুন। ২০ বার করে ৫ টি সেটে করুন এই ক্রাঞ্চ।
আরও পড়ুন: পুজোর মেক আপে দফারফা ত্বকের যত্ন নিন এ সব উপায়ে
সাইড প্লাঙ্ক: পাশ ফিরে শুয়ে পড়ুন। এটি করার সময় এক হাতের পাতা আর দু’পায়ের আঙুল মাটিতে রাখবেন। এক হাতের পাতা ও পায়ের পাতা ও আঙুলগুলোর উপর ভর দিয়ে শরীরকে শূন্যে ভাসিয়ে দিন। অন্য হাত উপরে থাকবে। পা-ও থাকবে একটির উপর আর একটি। প্লাঙ্কের সময় শরীর যেন মাটির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে থাকে। ১০ সেকেণ্ড ধরে রাখুন প্রতি বার। প্রতি ১০ বারে একটি করে সেট হয়। প্রথম প্রথম ৫ টি সেট অভ্যাস করুন।
স্কোয়াট: দুটি পায়ের মাঝে মোটামুটি ১০-১২ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে দু’হাত মুঠো করুন। এই অবস্থায় হাঁটু ভাঁজ করে ‘দ’ অবস্থায় (হাফ সিটিং পজিশনে) বসে আপ-ডাউন করুন। এতে পায়ের পেশি ও পেটের পেশি মজবুত হয়। প্রতি সেটে নিয়মিত ২০ বার করে করুন। প্রথম প্রথম ৫টা সেট করলেও ধীরে ধীরে তা বাড়িতে ১০টি সেট পর্যন্ত নিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy