মেদ ঝরাতে ড্রাই ফ্রুটস রাখুন পাতে। ছবি: আইস্টক।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনের হাত ধরে শরীরে জমে বাড়তি মেদ। ফ্যাট কমানোর চেষ্টায় যোগ হয় ডায়েট, প্রয়োজনীয় শরীরচর্চাও। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের সাহায্য না নিয়ে নিজের বেছে নেওয়া ডায়েটে থেকে যায় অনেক ভুলভ্রান্তি। তাই ফ্যাটের উপাদান রয়েছে এমন অনেক উপকারী ফ্যাটকেও আমরা অজান্তেই বাদ দিয়ে ফেলি ডায়েট থেকে। ভুল হয় এখানেই। কিছু ফ্যাট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্যই প্রয়োজন। ফ্যাটের চাহিদা মেটাতে এ সব খাবারে ভরসা রাখতেই হয়।
শুধু তা-ই নয়, পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহর মতে, ‘‘এমন কিছু ফ্যাট জাতীয় খাবার রয়েছে, যা ডায়েটে যোগ করলে মেদ তো বাড়েই না, উল্টে তা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাদাম-সহ কিছু ড্রাই ফ্রুটস। অনেকের ধারণা বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটস বোধ হয় মেদ বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু নিয়ম মেনে ও প্রতি দিনের ডায়েটে এদের রাখলে মেদ কমাতে এরা প্রভূত উপকার করে। এরা মেটাবলিজম বাড়াতে যেমন কার্যকর, তেমনই খারাপ কোলেস্টেরলকে ভাল কোলেস্টেরলে পরিবর্তন করা, লিপিডের স্তরকে নামিয়ে রাখা ইত্যাদি কাজেও লাগে। মূলত পেটের মেদ ঝরাতে তো খুবই কার্যকর।’’
মেদ ঝরাতে কোন কোন ড্রাই ফ্রুটসের উপর ভরসা করা যায় আর কতটা পরিমাণে খেলে তবেই পাবেন কাঙ্ক্ষিত লাভ, জানেন? রইল হদিশ।
আরও পড়ুন: পলিসিস্টিক ওভারির শিকার অনেকেই, কী ভাবে সামলাবেন, উপসর্গই বা কী?
আমন্ড: ডায়েট চার্টে পুষ্টিবিদরা অনেক সময়েই সযত্নে রাখেন এই খাবার। আমন্ডের অন্যতম কাজ খারাপ কোলেস্টেরলকে ভাল কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করা। এ ছাড়া শরীরের মেটাবলিজমের রেট বাড়িয়ে তা খিদে বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে আমন্ড। তাই প্রতি দিন ডায়েটে ৭-৮টা আমন্ড রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
পেস্তা: একটু দামি হলেও অল্প পরিমাণে পেস্তাও রাখা দরকার ডায়েটে। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজের উৎস তো বটেই, এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের বিপাক হার বাড়ায়। রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতি দিন ৫-৬টে পেস্তা তাই রাখুন ডায়েটে।
আখরোট: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে আখরোটের প্রয়েজনীয়তার কথা অনেকেই জানেন। এ ছাড়াও এতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় শরীরের কোলেস্টেরলকে বাড়তে দেয় না। এ ছাড়া এতে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড বা ‘এএলএ’ থাকায় তা হজমশক্তিকে মজবুত রেখে শরীরের মেদ ঠেকাতে বিশেষ কাজে আসে। প্রতি দিন ১০-১২টা আখরোট রাখতেই পারেন খাবার পাতে।
আরও পড়ুন: লিপস্টিক ছাড়া ঠোঁটের নুডিটিতেই বাজিমাত? যত্ন নিন এ ভাবে
কিসমিস: স্বাদে মিষ্টি বলে অনেকে ফ্যাট আসার ভয়ে এই খাবারকে সরিয়ে রাখেন। আসলে ফ্যাট কমাতে এর ভূমিকা অসীম। কিসমিস খেলেই শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটতে শুরু করে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের হারকে কিছুটা কমায়। এ ছাড়া এতে ‘গাবা’ নামক শক্তিশালী নিউরোট্রান্সমিটার থাকায় তা খিদে নিয়ন্ত্রণ করে, তাই কিসমিসও রাখুন ৩-৪টি।
খেজুর: উচ্চ ক্যালোরির ডায়েটে বিশেষ কাজে আসে খেজুর। এতে ক্যালোরি খুব বেশি ও সহজে পেট ভরে বলে ডায়েটে খেজুর রাখেন অনেকেই। অল্প ক’টা খেজুর অনেক ক্ষণ খিদে কমিয়ে রাখতে পারে। তাই প্রতি দিন ৪-৫টা খেজুর রাখুন পাতে।
কাজু: শরীরের কাজে আসে এমন ফ্যাটে ঠাসা কাজুবাদাম। খারাপ কোলেস্টেরলকে ভাল কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করা এর অন্যতম কাজ। এ ছাড়া শরীরের প্রয়োজনীয় তেলের জোগানও কিছুটা মিটিয়ে দিতে পারে কাজুবাদাম। তাই ৪-৫টা কাজুও রাখুন ডায়েটে।
কী ভাবে খাবেন
একটি পাত্রে পরিমাণ অনুযায়ী ড্রাই ফ্রুট নিয়ে ২০-২৫ গ্রাম ওজনের করে নিন। তা দিয়েই বিকেলের অল্প খিদেকে সামাল দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy