ওবেসিটি রুখতে বদলে ফেলুন কিছু নিত্য অভ্যাস। ছবি:শাটারস্টক।
সারা দিনের ব্যস্ততা ও অনিয়মের মাঝেও শরীরে যাতে বাড়তি মেদ চেপে না বসে, সে চেষ্টা চালানো বুদ্ধিমানেরই কাজ। কিন্তু তার জন্য কেবল ডায়েট ও সময় মেপে শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। বরং বেশ কিছু নিয়ম-কানুনে নজর দেওয়া ও ভুল শুধরে নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই খুব নিয়ম করে শরীরচর্চা শুরু করেন, চালিয়ে যান ডায়েটও। কিন্তু মাসের শেষে দেখা যায় ওজন হয়তো মাত্র কয়েকশো গ্রাম কমল! এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। ভাবেন, ডায়েটের মূলেই হয়তো থেকে গিয়েছে ভুল!
কিন্তু আসল ভুল ঘাপটি মেরে রয়েছে আপনার দৈনন্দিন নিয়মের ভিতরেই। হয়তো ডায়েট ও শরীরচর্চার পরেও এমন কিছু ভুল করে বসছেন যার জেরে বাড়তি মেদ ছেড়ে যাচ্ছে না সে ভাবে। পরিশ্রম জলে যাচ্ছে ভেবে মন খারাপের কারণ নেই। বরং সে সব ভুল শুধরে নিলেই দেখবেন, ডায়েট ও শরীরচর্চার ফল পাচ্ছেন হাতেনাতে।
অনেকেই জানেন, সময়ে খাওয়া, সময়ে ঘুম এগুলো সুস্থতার পথে অনেকটা এগিয়ে রাখে। কিন্তু অনেক বিষয় রয়েছে যা এই এগনোর পথকে সমস্যাসঙ্কুল করে তোলে। তাই সে সব ভুল চিনে শরীররে সুস্থ ও বাড়তি মেদমুক্ত রাখুন।
আরও পড়ুন: ওষুধেই সম্পূর্ণ রোগমুক্তি ফুসফুসের ক্যানসারে! কী ভাবে সম্ভব করছেন বিশেষজ্ঞরা? রোগ ঠেকাবেন কী করে?
জল কম: শরীর তার প্রয়োজনীয় কাজ চালানোর জন্যও জল কম পেলে আগে থেকে জল জমিয়ে রাখতে চায় শরীর, যাতে দরকারের সময় তার সংসারে জলের অভাব না হয়। আর জল কখনওই একা জমতে পারে না শরীরের ভিতর। নুনের সঙ্গে জমাট বাঁধে শরীরে জমে থাকার উদ্দেশে। এতেও ফুলে যায় শরীর। তাই নুন কম ও জল বেশি খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করুন।
ক্যালোরি কমানো: ডায়েট করা মানেই কিন্তু ক্যালোরির মাত্রা অনেকটা কমিয়ে ফেলা একেবারেই নয়। আর নিজের ইচ্ছেমতো বা সোশ্যাল সাইটের পরামর্শ মেনে ক্যালোরির মাপ কমাবেন না। বরং আপনার শরীরে কতটা ক্যালোরি প্রয়োজন তা ওজন ও ডায়েট মেনে তবেই ঠিক করা জরকার, আর এই কাজে কোনও চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই বিজ্ঞানসম্মত।
আরও পড়ুন: কলোস্ট্রাম থেকে বঞ্চিত রাখছেন সদ্যোজাতকে? কী কী ক্ষতি করছেন জানেন?
ফ্যাট, কার্বস ও প্রোটিন সবই যেন ডায়েটে থাকে সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
ক্র্যাশ ডায়েট: কম খাওয়া বা একেবারেই নামমাত্র কেয়ে ওজন কমানোর মতো ভুল একেবারেই করবেন না। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই এমন ক্র্যাশ ডায়েটের শরণ নিয়ে থাকেন। কিন্তু এতে দুর্বল তো হবেনই, সঙ্গে রক্তচাপ কমে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
প্রোটিন ও ফাইবার: ডায়েটে জোর দিন প্রটিন ও ফাইবারে। ফ্যাট, কার্বস ও প্রোটিন সবই যেন ডায়েটে থাকে সে দিকেও নজর রাখতে হবে। খাবারের পাতে উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ প্রোটিন বেশি পরিমাণে রাখুন। সঙ্গে যোগ করুন প্রয়োজনীয় ফাইবার। ফ্যাটের মাত্রা নির্ণয় করুন কত ক্যালোরির ডায়েট খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম যত কমবে ততই পেটে মেদ জমতে শুরু করবে। নিয়ম করে ছ’-সাত ঘণ্টা না ঘুমোলে শরীরের মেটাবলিক রেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আর মেটাবলিজমের উপর অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের মেদ। তাই ঘুমের সঙ্গে আপস একেবারেই নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy