ঘরের বাতাস পরিষ্কার করবে এই গাছ।
দূষণের মাত্রা বাড়ছে। এরই মধ্যে ঘরটুকু যতটা দূষণমুক্ত রাখা যায়, ততই ভাল। অনেকেই মোটা টাকা খরচ করে দামি ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ বা বাতাস পরিশোধক যন্ত্র বসান। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের বাতাস দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলা যায়। দরকার বিশেষ কয়েকটা গাছ।
নাসা-র তালিকায় রয়েছে এমন কয়েকটি গাছ, যা ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে পারে। এই তালিকা থেকে বেছে ভারতীয় পরিবেশে বাঁচানো যায়, এমন কয়েকটি গাছের সন্ধান রইল এখানে।
ডেভিলস আইভি বা পথোস: মানিপ্লান্ট নামে পরিচিত এই গাছ যে কোনও ধরনের পরিবেশে সহজে বাঁচানো যায়। মাটিরও দরকার হয় না, শুধুমাত্র জলেই এই গাছ ভাল ভাবে বাড়তে পারে।
যত্ন কী ভাবে: একটু বেশি জল দিতে হয়। তবে শীতকালে কম জল দিলেও চলে।
যে সব দূষিত পদার্থ শোষণ করে: জাইলেন, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড।
বিষাক্ত কি না: কুকুর এবং বিড়ালের জন্য এই গাছের পাতা বিষাক্ত। ফলে এদের থেকে দূরে রাখুন।
ইংলিশ আইভি: আইভি লতা ঢাকা বাড়ির ছবি অনেকেই দেখেছেন। অন্য দেশের ঠান্ডা আবহাওয়ার সারা বাড়ির দেওয়াল জুড়েই এই গাছ বাড়তে পারে। কিন্তু ভারতে অতিরিক্ত গরমে তা পারে না। কিন্তু ঘরের ভিতরে সহজেই এই গাছকে বড় করা যায়।
যত্ন কী ভাবে: একটু ঠান্ডা জায়গা দিতে পারলে ভাল। সরাসরি রোদে এই গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
যে সব দূষিত পদার্থ শোষণ করে: কার্বন মনোক্সাইড, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড।
বিষাক্ত কি না: কুকুর এবং বিড়ালের জন্য এই গাছও বিষাক্ত। মানুষের ত্বকেও এই গাছের পাতার রস বেশি লাগলে সমস্যা হতে পারে।
স্প্যাথিফাইলাম বা পিস লিলি: সামান্য যত্নেই দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। তবে কড়া রোদ আসে, ঘরের এমন জায়গায় না রাখাই ভাল। মাটি এখটু ভেজা ভেজা থাকলে এই গাছ খুব ভাল থাকে। সারা বছর ধরেই সাদা ফুল হয়। যা এই গাছের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ।
যত্ন কী ভাবে: মাটি ভেজা থাকলে ভাল। বেশি রোদে রাখলে গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে। ফুল ফোটাও বন্ধ হয়ে যাবে।
যে সব দূষিত পদার্থ শোষণ করে: জাইলেন, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড, কার্বন মনোক্সাইড।
বিষাক্ত কি না: কুকুর এবং বিড়ালের জন্য এই গাছের পাতা বিষাক্ত। এই গাছের পাতা পেটে গেলে শিশুদেরও সমস্যা হতে পারে।
অ্যানথুরিয়াম বা ফ্ল্যামিংগো লিলি: ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। আলো ভালবাসে এই গাছ। সারা বছর লাল রঙের ফুল ফোটে। পিস লিলি-র মতো এর মাটিও একটু ভিজে রাখতে পারলে ভাল হয়।
যত্ন কী ভাবে: বাথরুমের মতো ভিজে পরিবেশে খুব ভাল বাঁচে এই গাছ। তেমন পরিবেশে রাখতে পারলে ভাল।
যে সব দূষিত পদার্থ শোষণ করে: জাইলেন, অ্যামোনিয়া, ফর্মালডিহাইড।
বিষাক্ত কি না: পিস লিলি-র মতোই কুকুর এবং বিড়ালের জন্য এই গাছের পাতাও বিষাক্ত। ফলে এদের থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের থেকেও দূরে রাখা উচিত এই গাছ।
ব্যাম্বু পাম: যে কোনও ধরনের মরসুমেই এই গাছ খুব ভাল বাঁচে। একটু আর্দ্র আবহাওয়া দিতে পারলে ভাল। উচ্চতায় একটু বড় বলে একে বড় টবে রাখতে পারলে ভাল হয়।
যত্ন কী ভাবে: যেখানে ভাল হাওয়া চলাচল করে, সেখানে এই গাছ রাখা উচিত। নিয়মিত জল দিলে ভাল।
যে সব দূষিত পদার্থ শোষণ করে: জাইলেন, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং আরও অনেক কিছু।
বিষাক্ত কি না: কুকুর, বিড়াল বা মানুষের জন্য এই গাছ মোটেই বিষাক্ত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy