ফল খাওয়া ভাল— এই আপ্তবাক্য মাথায় রেখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সামর্থ্য অনুযায়ী এক বা একাধিক ফলমূল রাখার চেষ্টা করেন স্বাস্থ্য সচেতনেরা। কেউ দিনে একটি করে পেয়ারা খান, কেউ খান আপেল। কেউ আবার মরসুমি ফল, অর্থাৎ যে ঋতুতে যেমন পাওয়া যায় সেই ফল খাওয়াকেই গুরুত্ব দেন বেশি। কিন্তু যে ফল খাচ্ছেন, তার সব গুণাগুণ জেনে ফল খান কি?
আনারস খেতে অনেকেই ভালবাসেন। আনারসে যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, সে কথাও অনেকের জানা। পাশাপাশি আনারসে থাকা আরও একটি উপাদান আনারসের গুণ অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। তার নাম ব্রোমেলাইন। যা এক ধরনের এনজ়াইম।
ব্রোমেলাইন কী কী কাজে লাগে?

ছবি: সংগৃহীত।
১। ব্যথা, ফোলাভাব, আর্থ্রারাইটিসে কার্যকরী
ব্রোমেলাইনে আছে প্রদাহনাশক উপাদান। যা ব্যথা বা আঘাত জনিত কারণে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অস্থিসন্ধির আড়ষ্ট ভাব এবং আর্থ্রারাইটিসের জন্য পায়ের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
২। দাঁতের সমস্যায়
দাঁত তোলার পরে দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্যও উপযোগী ব্রোমেলাইন। এ ছাড়া দাঁতে ব্যাকটেরিয়াজাত সমস্যা প্রতিরোধে এবং দাঁতে হলদেটে ভাব দূর করতেও কাজে লাগে ব্রোমেলাইন।
৩। প্রোটিনকে ভাঙে
ব্রোমেলাইন প্রোটিনকে ভাঙতে সাহায্য করে। প্রোটিন ভাঙলে তৈরি হয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা পেশি তন্তু গড়তে এবং মেরামত করতে সাহায্য করে। শরীরে পেশির বৃদ্ধির জন্য ওই প্রক্রিয়া জরুরি।
৪। ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বককে মৃতকোষ মুক্ত করে উজ্জ্বল করে। ব্রোমেলাইনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ত্বককে দূষণ মুক্ত করে ভাল রাখে। কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে ত্বকে বলিরেখা এবং অন্য বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৫। পুড়ে যাওয়া ত্বক মেরামত
পুড়ে যাওয়া ত্বকের তন্তু মেরামত করার ক্ষেত্রে ব্রোমেলাইন অত্যন্ত কার্যকরী।
৬। হজমে সহায়ক
প্রোটিন ভেঙে তৈরি হয় এনজ়াইম। যা হজমে সহায়ক। ব্রোমেলাইন নিজে এনজ়াইম হয়ে হজমে সহায়ক এনজ়াইম তৈরিতে উৎসেচকের কাজ করে।
৭। ওজন কমায়
ব্রোমেলাইন শরীরে বিপাক হার বৃদ্ধি করতে পরোক্ষে সাহায্য করে। যা ওজন ঝরানোর জন্য জরুরি।