— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলপড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও জরুরি পরামর্শ দরকার হলে এ বার থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অধ্যক্ষরাই। সেই লক্ষ্যে স্কুলের অধ্যক্ষদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ হবে অনলাইনে। সিআইএসসিই বোর্ডের তরফে আগামী ৪ জুন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনলাইনে অধ্যক্ষদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস, বেঙ্গালুরুর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞেরা এই প্রশিক্ষণ দেবেন স্কুলের অধ্যক্ষদের। সিআইএসসিই বোর্ডের কয়েক জন অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, প্রথমে এক দিন অনলাইনে প্রশিক্ষণ হবে। এর পরে প্রয়োজনে আরও কয়েকটা দিন বাড়ানো হতে পারে।
স্কুলে শুধু পড়াশোনা নয়, পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সার্বিক উন্নয়নও অনেকটা জরুরি বলে মনে করেন সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জোসেফ ইমানুয়েল। তাঁর মতে, পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে পড়ুয়াদের মনের খবরও নিয়মিত রাখা উচিত স্কুলের শিক্ষক, অধ্যক্ষ বা স্কুলে নিযুক্ত কাউন্সিলরদের। তাই অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিআইএসসিই বোর্ডের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু স্কুলে নিজস্ব কাউন্সিলর থাকলেও অনেক স্কুলেই এই সুবিধা নেই। ফলে সেই সব স্কুলের পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শের প্রয়োজন হলে বাইরে কোনও কাউন্সিলরের কাছে দৌড়তে হয়। ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ মৌসুমি সাহা বলেন, ‘‘অনেক পড়ুয়ার মা-বাবা আবার কাউন্সিলরের কাছে যাবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। স্কুলের শিক্ষক বা অধ্যক্ষই যদি কোনও পড়ুয়ার মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনে প্রাথমিক সাহায্যটুকু করতে পারেন, তা হলে পড়ুয়া, এমনকি, তার অভিভাবকেরাও অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। পড়ুয়ারা খোলা মনে অধ্যক্ষ বা তার প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে নিজের সমস্যার কথা বলতেও পারবে।’’
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে শুধু একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণির নয়, নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদেরও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যার কথা সামনে আসছে। বিশেষত, মোবাইলে আসক্তি নিয়ে মানসিক সমস্যা, পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপের জেরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া, বন্ধুবান্ধব না থাকার কারণে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তির জেরেও মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। আবার স্কুলের নিজস্ব কাউন্সিলর থাকলেও এমনও হয় যে, আংশিক সময়ে কাজ করার জন্য তিনি প্রতিদিন হয়তো স্কুলে আসেন না। ফলে পড়ুয়ার সমস্যার সমাধান সঙ্গে সঙ্গে করা সম্ভব হয় না। তাই এই প্রশিক্ষণ পেলে স্কুলপড়ুয়াদের সমস্যার কথা জেনে তখনই সাহায্য করতে পারবেন শিক্ষক বা অধ্যক্ষেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy