বাড়িতে একটাই ময়েশ্চারাইজ়ার, একটাই সিরাম। সেটাই মাখছেন অন্যেরাও। কিন্তু একই উপকরণ কি সকলেই ব্যবহার করতে পারেন? ধরুন আপনার ত্বকে ব্রণ হয়েছে। অথচ আপনার মায়ের ত্বক বেশ শুষ্ক। অথচ মাখছেন একটাই ময়েশ্চারাইজ়ার।
সমস্যা আলাদা। ত্বকের ধরন আলাদা। হিসাবমতো পরিচর্যাও তো আলাদাই হওয়া উচিত। মরসুমভেদে আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে ত্বকে। শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলেও, গরমে যে সব এলাকায় আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হয়, সেখানে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে ত্বক হয়ে যায় তেলতেলে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্রণ, র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়।
ত্বকের চিকিৎসক আমিশা মহাজন বলছেন, সমস্যা, ত্বকের ধরনভেদে পরিচর্যা, সঠিক উপকরণ ব্যবহার জরুরি।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে, গরমে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হয়ে ওঠে। সে কারণে তৈলাক্ত ত্বকে জেল জাতীয়, ফেনাযুক্ত বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। সঠিক ফেসওয়াশ ত্বক থেকে ধুলো, ময়লার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
তা ছাড়া, সানস্ক্রিন ব্যবহার সব সময়েই জরুরি। তবে তৈলাক্ত ত্বকে অত্যন্ত হালকা, জেল বেসড সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজ়ার যুক্ত সানস্ক্রিনে এই ধরনের ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
পাশাপাশি দরকার ত্বকের উপযোগী মাস্ক। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ‘ক্লে মাস্ক’ ভাল। এই ধরনের মাস্ক অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন
শুষ্ক ত্বকের ধরন হলে শীতে সমস্যা বেশি হয়। এই সময় বাতাসে স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায় বলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। গরমে ততটা সমস্যা না হলেও, শুষ্ক ত্বকের জন্য বছরভরই ক্রিম জাতীয় ফেসওয়াশ ভাল।
শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন, সেরামাইড বা কোকোবাটার যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা যায় বছরভর। এ ছাড়া, নিয়াসিনামাইড এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত সানস্ক্রিন। এ ছাড়া ত্বক আর্দ্র রাখতে ব্যবহার করতে পারেন মিস্ট।
স্পর্শকাতর
শুষ্ক এবং তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা একরকম। তবে ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে সমস্যা আরও বেশি। চট করে যে কোনও প্রসাধনী মুখে মাখা যায় না। যে কোনও মৃদু ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ত্বকের জন্য সেরামাইড যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার, জিঙ্ক অক্সাইড যুক্ত সানস্ক্রিন ভাল। মুখে র্যাশ বেরোলে বা প্রদাহ হলে ব্যবহার করতে পারেন বরফ।