চিনি এবং মধু, ভাল-মন্দ আছে দুটোরই।
সকালে চায়ের কাপে চিনি বাদ দিয়েছেন। বদলে এখন মধু খাচ্ছেন? ভাবছেন, তাতে রক্তে চিনির পরিমাণ কমবে? কিংবা ভাবছেন, এতে অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলবেন? বিষয়টা ঠিক ও রকম নয়। চিনি এবং মধু— মিষ্টত্বের এই দুটোর বিকল্প খুব বেশি নেই। কিন্তু দুটোর ভাল এবং মন্দ দিক আছে। তাই আপনার জন্য কোনটা, সেটা বেছে নেওয়ার আগে জেনে নিন কয়েকটা সাধারণ তথ্য।
চিনি
মূলত আখের রস থেকেই তৈরি হয় চিনি। তবে ‘টেবিল সুগার’ হিসেবে আমরা বাজার থেকে যে চিনি কিনি, সেটি বিশুদ্ধিকরণ করার পরে বিক্রি হয়। রান্না বা যে কোনও ধরনের খাবারে মিষ্টত্ব আনার জন্য চিনির ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি।
ভাল দিক: মধুর তুলনায় ক্যালোরি অনেক কম। সহজে পাওয়া যায়। দীর্ঘ দিন রেখে দেওয়া যায়। নষ্ট হয় না।
খারাপ দিক: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে চিনি। কারণ এটি খুব সহজেই রক্তে মিশে যেতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ বা জিআই। মধুর তুলনায় চিনির এই জিআই-এর মাত্রা অনেক বেশি। ফলে বেশি চিনি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ওজন বাড়তে পারে, দাঁতের ক্ষয় হতে পারে, এমনকি যকৃতের কাজও থেমে যেতে পারে।
মধু
ফুল থেকে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন -সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। এ ছাড়া, অল্প পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিডও থাকে। এর প্রতিটাই শরীরের জন্য উপকারী।
ভাল দিক: বহু ধরনের অ্যালার্জির আটকাতে মধু সাহায্য করে। গলা ভাঙা সারাতেও মধু বেশ কাজে লাগে।
খারাপ দিক: ক্যালোরির মাত্রা চিনির তুলনায় অনেক বেশি। যাঁরা ডায়াবিটিসে ভুগছেন, হৃদ্রোগের আশঙ্কা আছে— তাঁদের জন্য মধু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই মধু খেতে হবে।
শেষ কথা
সর্দি-কাশি আটকানোর ক্ষেত্রে মধু কাজে লাগে। তবে বাজারে যত মধু পাওয়া যায়, তার মধ্যে অনেকগুলোতে ভেজালের পরিমাণ বেশি। এমনকি, বহু নামী ব্র্যান্ডও এই দোষে দুষ্ট। ফলে মধু কেনার আগে ভাল করে দেখে নেওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy