বাড়তি ওজন ডেকে আনে নানা সমস্যা।
বড়দের মতোই অতিমারির সময়ে মেদ বাড়ছে শিশুদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ৪ কোটিরও বেশির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
‘ইন্টারন্যাশনাল ওবেসিটি টাস্ক ফোর্স’ বা আইওটিএফ-এর হিসেব অনুযায়ী, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। কোভিডের কারণে বাইরে বেরনো বন্ধ হওয়ায় আমাদের দেশে শিশুদের ওজন বেড়েছে প্রায় ১১.৭ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এখনই সতর্ক না হলে এ দেশে ২০২৫ সালে অতিরিক্ত ওজনের শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষে। যে সব শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তাদের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশই এই বাড়তি ওজনের বোঝা নিয়ে পৌঁছে যায় প্রাপ্তবয়সে। এর থেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, লিপিড বেড়ে যাওয়া, ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। এমনই বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পল্লব চট্টোপাধ্যায়। তাই স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি ওজন হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।
টিফিনে নজর দিতে হবে
কোভিডের কারণে দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকলেও এ বারে আশা করা যায়, স্কুল শুরু হবে। বহু শিশুই বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাবে। কিছু শিশু স্কুলের ক্যান্টিনের খাবারও খেতে পারে। তাই ওদের খাবারের বিষয়ে নজর দিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে। কম ক্যালোরি যুক্ত পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে ওদের জন্য। স্কুলে প্রত্যেক শিশু যাতে দৈনিক ৪০-৪৫ মিনিট দৌড়ে খেলতে পারে, তার উদ্যোগও নিতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পল্লব চট্টোপাধ্যায়। শারীরশিক্ষার পরীক্ষা থাকলে শিশুরা খেলতে বাধ্য হবে। ছোট থেকে খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ওদের সচেতন করা গেলেও ভাল।
ওজন ঠিক রাখার টিপস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy