শরীর সুস্থ রাখার জন্য তো বটেই, সুন্দর থাকতেও তাঁদের বশে রাখতে হয় ওজন। কারণ, তাঁরা যে অভিনেত্রী। ওজন বাড়লে সাধারণ মানুষজনের চেয়ে অনেক বেশি কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁদের। সমস্ত রকম চরিত্রের সঙ্গেও সেই চেহারা মানানসই হয় না।
ঠিক সে কারণেই ওজন বশে না থাকলে, অনেকেরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ঠিক যেমন দুশ্চিন্তায় ছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী জ্যোতিকা। ডায়েট, ব্যায়াম করেও কিছুতেই বশে আসছিল না ওজন। তবে সম্প্রতি, সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিন মাসে ৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি বিদ্যা বালানের পুষ্টিবিদ দলের পরামর্শেই।
আর তাতেই উচ্ছ্বসিত বি-টাউনের অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, ডায়েট সম্পর্কে ভুল ধারণা না ভাঙলে ফল পাওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে জ্যোতিকা বলছেন, ‘‘পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে পেটের স্বাস্থ্য, হজম, খাবার সংক্রান্ত প্রদাহ, পুষ্টির ভারসাম্য সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, পুষ্টির গুরত্ব, শরীর এবং মেজাজের উপর তার ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছি। ঠিক সে কারণেই অনেক বেশি তরতাজা এবং আত্মবিশ্বাসী মনে হয় নিজেকে।’’
আরও পড়ুন:
বলিউডের নামজাদা তারকা বিদ্যা বালনকেও এক সময় ওজন বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল। তবে ১৭ বছর পর ‘মঞ্জুলিকা’ ছবিতে তাঁকে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনুরাগীরা। মেদ ঝরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন ছিপছিপে। বিদ্যা সেই সময় জানিয়েছিলেন, যখন শত চেষ্টাতেও তাঁর ওজন কমছিল না তখন চেন্নাইয়ের এক পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। অতি সাধারণ খাবারও যে ওজন বৃদ্ধির কারণ হচ্ছিল, তা তিনি আগে বোঝেননি। তাঁদের পরামর্শে কঠোর শরীরচর্চা ছাড়াই নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করে ওজন কমিয়েছিলেন বিদ্যা।
বিদ্যার ওজন কমানোর কথা জানার পরে সেই পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জ্যোতিকা। সমাজমাধ্যমে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি। আর এতেই লাভ হয়। তবে তিনি মনে করেন, সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি ওজন নিয়ে শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলছেন, ‘‘সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ডায়েট এবং শরীরচর্চায় ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন।’’ জ্যোতিকার কথায়, শরীরচর্চার প্রশিক্ষকের কাছে তিনি শিখেছেন, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। মন শান্ত রাখা, শরীর সুস্থ রাখাই আসল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণের পথে হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এমনিতেই সম্ভব।