কাজের সুবিধার জন্য যতই আধুনিক যন্ত্রপাতি আসুক না কেন, শিলে বাটা মশলা কিংবা হামানদিস্তায় থেঁতো করা মশলা দিয়ে রান্না করলে তার স্বাদই আলাদা হয়। আসলে মশলা ঠিক কতটা বাটা হচ্ছে, মিহি না আধ-বাটা, তার উপর রান্নার স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে।
রন্ধন প্রণালী নিয়ে যাঁরা খুঁতখুঁতে, তাঁরা অনেকেই হামানদিস্তা ব্যবহার করেন। আবার চটজলদি সামান্য মশলা থেঁতো করতেও গৃহস্থে এটির দরকার পড়ে। লোহার, পাথরের, অ্যালুমিনিয়ামের হামানদিস্তা পাওয়া যায়। তবে তাতে কতটা ভাল ভাবে মশলা পিষতে পারবেন, তা কিছুটা নির্ভর করে সঠিক পদ্ধতির উপর।
১. অনেকেই অভিযোগ করেন, হামানদিস্তায় গরমমশলা ঠিকমতো মিহি করা যাচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে পদ্ধতিগত ত্রুটি। যেটি দিয়ে মশলা থেঁতো করছেন, সেটি কি গায়ের জোরে ঠুকছেন? এতে কিন্তু ঠিকমতো কাজ হবে না। বরং দিস্তা দিয়ে মশলা হালকা চাপে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে থেঁতো করার চেষ্টা করুন। এতে মিহি হবে বাটা।
২. শুকনো মশলা বাটতে হলেও, এক বার হামানদিস্তা জলে ধুয়ে নিন। সামান্য জল মশলাটি ভাল করে বাটতে সাহায্য করবে। শুকনো অবস্থায় যতই মশলা বাটা হোক, মিহি হবে না। তবে সামান্য জল থাকলেই সহজে বাটা হয়ে যাবে।
৩. বাজারে রকমারি হামানদিস্তা পাওয়া গেলেও, পাথরের হামানদিস্তা ব্যবহার করাই সুবিধার। যে কোন মশলা থেঁতো করে নিতে বা বাটতে পাথরেরটিই বেশি কাজে আসে। এই ধরনের হামানদিস্তায় সহজেই মশলা বেটে নেওয়া যায়।
৪. শুধু ব্যবহার করলেই হল না, হামানদিস্তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করাও জরুরি। জিনিসটি পাথরের হলে, বেশ কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর সেটি শুকিয়ে গেলে, কিছুটা চিনি গুঁড়িয়ে নিন। ধুয়ে ফেলুন। পরে চাল গুঁড়িয়ে নিন। আবার ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে বার দু’য়েক করলে হামানদিস্তা ভাল ভাবে পরিষ্কার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy