বয়স হলেও ভাল থাকা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময়ের দৌড়ঝাঁপ, ব্যস্ততা স্তিমিত হয়ে আসে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে। বিশেষত ৬০ হলেই কর্মক্ষেত্র থেকেও ছুটি হয়ে যায়। তার পর অখণ্ড অবসর। অবশ্য সকলের জীবনে তা হয় না। ষাটোর্ধ্ব হয়েও কাউকে প্রয়োজনে কাজের জগতে থাকতে হয়। তবে এই বয়সের বেশ কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে। এই যেমন শরীর অশক্ত হয়ে যাওয়া। কিছুটা একলা হয়ে পড়া। নানা রকম রোগ বাসা বাঁধা। ভুলে যাওয়া। তবে, বয়স তো সময়ের নিয়মে এগোবেই। তার মধ্যেও আনন্দে থাকতে হবে।
ষাটের দোরগোড়ায় পৌঁছে কী ভাবে, কোন জীবনচর্চায় ভাল থাকতে পারেন, রইল তারই হদিস।
১. সারা জীবন পরিবারের জন্য পরিশ্রম করেছেন। ষাটে পৌঁছে বরং সময়টাকে নিজের মতো করে কাজে লাগান। শরীর ভাল রাখতে শুরু করুন শরীরচর্চা। তবে ইচ্ছেমতো নয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। হাঁটু ব্যথা, মাথা যান্ত্রণা, কোলেস্টেরল-সহ শারীরিক সমস্যা বশে থাকবে প্রাণায়াম ও শরীরচর্চায়।
২. জীবন উপভোগ করতে গেলে শরীর সুস্থ থাকা দরকার। আর শরীর ভাল রাখতে সুষম আহার প্রয়োজন। শাক-সব্জি, ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। তবে বেশি তেল-ঝাল-মশলা কিন্তু নয়। শরীরে কোনও রোগ থাকলে, কিছু জিনিস খাওয়া বারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদকে দিয়ে প্রতিদিনের খাবারের তালিকা তৈরি করিয়ে নিতে পারেন।
৩. শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও যাতে ঠিক থাকে, তার খেয়াল রাখতে হবে। অবসরে দাবা, ক্যারম খেলতে পারেন। এই ধরনের খেলা মস্কিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। গান শোনার শখ মন ভাল রাখে। যদি নিজের গান-বাজনার শখ থাকে, তবে তা নতুন উদ্যমে শুরু করুন। এতে শরীর-মন ও মস্তিষ্ক সতেজ থাকবে।
৪. এই বয়সে এসে অনেকের মনেই হতাশা চেপে বসে। তাই একলা মনে হলে আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। অনেক সময়ই সকাল-বিকাল হাঁটাহাঁটির দল তৈরি হয়ে যায় কোনও এলাকায়। তেমন কোনও দলে যুক্ত হতে পারলে সময় ভাল কাটবে। তেমনটা না হলে যোগব্যায়ামের ক্লাসেও যোগ দিতে পারেন। ঘরের বাইরে বেরিয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি আর পাঁচটা মানুষের সঙ্গে দেখা, কথা হলে মন ভাল থাকবে। সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন। আবার বেরিয়ে পড়তে পারেন ভ্রমণেও।
৫. বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন না হলে কিন্তু আচমকা সুগার, প্রেসার বেড়ে বা কমে বিপত্তি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেই হবে।
৬. ষাটোর্ধ্ব অনেকেরই ঘুম কমে যায়। তবে ভাল থাকতে ঘুমটাও জরুরি। শোয়ার আগে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করতে হবে। রাতে হালকা খাবার খেতে হবে। না হলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনা থেকে ঘুম না আসে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে মাঝেমধ্যে।
৭. বয়সকালে হতাশা, মানসিক দুশ্চিন্তা অনেকের জীবনে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। মন ভাল রাখতে প্রাণায়াম করুন। সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy