হৃদযন্ত্রের যত্ন নিয়েই দূরে রাখুন জটিল অসুখ। ছবি: শাটারস্টক।
ক্রমাগত অনিয়ম, মানসিক চাপ, অমানুষিক পরিশ্রম— এগুলো যদি নিত্য দিনের সঙ্গী হয়, তা হলে হার্ট জানান দেবে না, এমনটা ভাবলে কিন্তু বাড়াবাড়ি হবে। আর এ সবের সঙ্গে যদি মেদ সঙ্গ দেয়, তা হলে তো আর কথাই নেই। বাড়তি বোঝা সইতে না পেরে হৃদযন্ত্র কাহিল হয়ে পড়ল বলে। অথচ পেশার ধরন, জীবনযাত্রার মান, পারিপার্শ্বিক চাপ এ সব মোটেও বদলানোর নয়। তা হলে কি হার্টের প্রতি এই অবিচার করতে থাকাই ভবিতব্য? না কি অন্য ক্ষতিপূরণের অন্য কোনও চেষ্টাও চালানো যেতে পারে?
প্রশ্নটা শুনেই মৃদু হাসলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরা। বললেন, “প্রতি দিন অত্যাচার করব, তার তার বদলে অল্পস্বল্প ক্ষতিপূরণেই সুস্থ থাকার চেষ্টা করব, এমনটা কিন্তু বাস্তবিক পক্ষেই হয় না। তবে সত্যিই এখন জীবনযাপনের যা ধারা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গেলে কিন্তু হার্টের পক্ষে একটু অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে। তাই নিয়ম মেনে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্তত প্রতি দিন মিনিট ২৫-৩০ হাঁটা আর ছ’-সাত ঘণ্টা নিশ্ছিদ্র ঘুমটুকু রাখুন নিয়মের মধ্যে। আর চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব কম তেল-মশলা খেতে, তাতেও অনেকটা সামাল দেওয়াযায়।’’
অতিরিক্ত মেদ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যাএগুলোও হার্টের সমস্যার অন্যতম কারণ। তাই এই অসুখগুলির হাত থেকে নিস্তার পেলে হার্টও ভাল থাকবে। আমাদের খাবার পাতেও আসলে অনেক রোগের সমাধান লুকিয়ে থাকে। হার্টের সমস্যা রুখতে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা ছাড়াও পাতে রাখুন এ সব খাবার।
আরও পড়ুন: গরমে জলের জায়গায় চা-কফি-ঠান্ডা পানীয়? কী বিপদ অপেক্ষা করছে জানেন?
হার্ট ভাল থাক নিয়মে, পাতে থাকুক খেজুর।
খেজুর: এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পলিফেনল আছে। রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ সাহায্য করে এটি। তাই ডায়াবিটিসের সমস্যা না থাকলে ও অন্য কোনও অসুখের কারণে নিষেধ না থাকলে প্রতি দিন কয়েকটা খেজুর খেতেই পারেন।
ব্রকোলি: ভিটামিন কে-র পর্যাপ্ত জোগান পেতে গেলে এই সব্জি পাতে রাখুন। ধমনীর স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ও রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে তাই বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই সব্জি।
গ্রিন টি: সকাল-বিকেল অন্তত ২ কাপ গ্রিন টি। মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর এই দাওয়াই। মেটাবলিজম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে গ্রিন টি।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার, সিরোসিসকে ভয়? কেবল খাদ্যাভ্যাসে বদল যথেষ্ট নয়, মানতে হবে এ সবও
ফলের স্যালাডে মিশিয়ে নিন ক্রানবেরি, ব্লু বেরিদের।
বেদানা: শরীরে আয়রনের জোগান দিয়ে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে ও রক্ত শোধন করতে বিশেষ সাহায্য করে বেদানা। ফাইটোকেমিক্যাল নামের যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ধমনীকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে তার অনেকটাই মেলে বেদানা থেকে।
বেরি জাতীয় ফল: রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে এই ধরনের ফল। তাই সুযোগ পেলেই ফলের স্যালাডে মিশিয়ে নিন ক্রানবেরি, ব্লু বেরিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy