ইন্টারভিউয়ের মানসিক চাপ কাটানো যায় সহজেই। ছবি: সংগৃহীত
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় উদ্বেগে ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে যে সময়টা ইন্টারভিউয়ের ঘরের বাইরে বসে থাকতে হয়, সেই সময়টা সবচেয়ে মানসিক চাপের। কিন্তু কয়েকটি সাধারণ পদ্ধতিতেই এই মানসিক চাপ অনেকটা কমিয়ে ফেলা যায়।
নিজেকে নাম ধরে ডাকুন: হালে ‘হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’ ইন্টারভিউ নিয়ে এক সমীক্ষায় বলছে, সেই সব ব্যক্তি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস ফিরে পান, যাঁরা ইন্টারভিউয়ের আগে মনে মনে নিজের সঙ্গে কথা বলার সময়, নিজেকে নিজের নামে ডাকেন। ধরা যাক, অদিতি নামের কেউ যদি ইন্টারভিউয়ের দরজার বাইরে নিজেকে ‘আমি সামলাতে পারব’ না বলে, ‘অদিতি এটা সামলাতে পারবে’ বলেন, তা হলে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
চিউয়িং গাম: ইন্টারভিউয়ের আগে চিউয়িং গাম চিবলে মানসিক চাপ কমে। এমনই বলছে, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চিউয়িং গাম চিবনোর সময় সেই সব হরমোনের ক্ষরণ কমে, যেগুলো মানসিক চাপ বাড়ায়। তা ছাড়া এতে মন অনেক বেশি সতেচন থাকে। এমনকি অফিসে কাজ করার সময়ও চিউয়িং গাম চিবলে মানসিক চাপ কমে বলেও বলা হয়েছে এই সমীক্ষার রিপোর্টে। তবে ইন্টারভিউেয়র ঘরে ঢোকার আগে ওই গাম ফেলে দেওয়া উচিত।
উদ্বিগ্ন নয়, উত্তেজিত: ইন্টারভিউয়ের ঘরের বাইরেই হোক, বা ভিতরে ঢুকেই হোক আশপাশের মানুষকে যদি বলা যায়, বিষয়টা নিয়ে খুব উত্তেজনা হচ্ছে, তা হলে মানসিক চাপ কমে। মানসিক চাপ বা উদ্বেগের সঙ্গে উত্তেজনার পার্থক্য আছে। যদিও তার বহিঃপ্রকাশের ধরনটা কিছু ক্ষেত্রে এক। কিন্তু বার বার যদি বলা যায়, ‘আমি খুব উত্তেজিত আর খুশি এই ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়ে’, তা হলে মনের উপর চাপ কমবে। এমনই বলছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের গবেষণা।
মিষ্টি কিছু: মুখে মিষ্টি কিছু গেলে মানসিক চাপ কমে। এমনটাই বলছেন, আমেরিকার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের দাবি, ডার্ক চকোলেট বা অন্য কোনও ধরনের মিষ্টি খাবার মুখে গেলে ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ কমে। এই হরমোনগুলিই মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। ইন্টারভিউয়ের আগে চাপ কাটানোর সহজ রাস্তা এই ধরনের কিছু খাওয়া।
কফি নয়, চা: কফির কারণে হৃদযন্ত্রের গতি বাড়ে। চা খেলে তা হয় না। অ্যাঞ্জেলা আইলার্ড নামে আমেরিকার এক মনোবিদ তাঁর গবেষণায় এমনটাই দেখিয়েছেন। তাঁর দাবি, ইন্টারভিউয়ের ঘরে ঢোকার আগে গরম কিছু খেতে ইচ্ছে হলে চা খাওয়া উচিত। উদ্বেগ কমবে।
একটু হাঁটা: ‘মায়ো ক্লিনিক’ নামে আমেরিকার এক চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার গবেষণা বলছে, চুপচাপ হাঁটা উদ্বেগ কমাতে কাজে লাগে। ইন্টারভিউয়ের ঘরের বাইরে চুপ করে পায়চারি করলে এ ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। ‘মায়ো ক্লিনিক’-এর দাবি, এই ‘হাঁটতে হাঁটতে ধ্যান’ পদ্ধতিতেও ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy