পল্লবী জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি জানতে পারেন তাঁর নিজের বিবাহবিচ্ছেদের পর। তাঁর মা নিজেই তাঁকে ঘটনাটি বলেছিলেন। পল্লবী জেনেছিলেন, তাঁর মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। জেনেছিলেন, তাঁর বাবা বিষয়টি কানাঘুষোয় শুনলেও বহুদিন তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করেননি। পল্লবীর মা কে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে তাঁর বাবার ১০ বছর সময় লেগেছিল। তত দিনে তাঁরা দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও স্ত্রী-র বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা সহজ ভাবে নিতে পারেননি পল্লবীর বাবা। ঘটনাটি সমস্ত আবরণ সরিয়ে সামনে এসে যাওয়ার পর দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। যা আর কখনওই ঠিক হয়নি।
পল্লবীর কথায়, ২৫ বছর বয়সেই তিনি কুমারিত্ব হারান। তবে শরীর বা শারীরিক চাহিদা সম্পর্কে তখনও প্রায় কিছুই জানতেন না তিনি। দু’বছর পর তাঁর বিয়ের রাতে তাঁকে ভান করতে হয়েছিল যেন পুরোটাই তাঁর প্রথম অভিজ্ঞতা। পল্লবী জানিয়েছেন, তাঁকে ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর মা। কিন্তু পরে কোনও দিনই স্বামীর সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক সহজ হয়নি।
বিচ্ছেদের পর একা মা পল্লবী একের পর এক যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পল্লবীর কথায়, হঠাৎ করেই বেশ হালকা বোধ করছিলাম আমি। নিজেকে মেলে দিয়েছিলাম সব রকম অভিজ্ঞতার জন্য। বিবাহিত পুরুষ, বয়সে অনেক বড় পুরুষের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছি। ধীরে ধীরে যৌনতা নিয়ে আমার ধারণা বদলাচ্ছিল। আমার কথাবার্তা আলোচনাতেও তা প্রকাশ পাচ্ছিল। বিবাহিত বন্ধুরা পরামর্শ চাইতে আসতে শুরু করেছিল আমার কাছে।
তবে পেশাদার যৌন প্রশিক্ষক হবেন তখনও ভাবেননি পল্লবী। ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ড তাঁর ধারণা বদলে দেয়। পল্লবী বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি ভয়াবহ ছিল। কিন্তু আমাকে যা চিন্তায় ফেলেছিল, তা হল ওই আলোচনাকে ঘিরে থাকা উপ আলোচনাগুলি। যেখানে যৌনতা মানেই নৃশংসতা। আমার মনে হয়েছিল কেন এমন ভাবা হবে। যৌনতা থেকে যে আনন্দও নেওয়া যায় আর তাতে একজন মহিলার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে, সেটা ভুলে গেলে চলবে কী করে?
এই ভাবনা থেকেই যৌন প্রশিক্ষক হওয়ার যাত্রা শুরু পল্লবীর। সেলসের কাজ করতেন। ঠিক করেন কেরিয়ারের অভিমুখ বদলাবেন। তাঁর মনে হয়েছিল এ দেশ একটা মুক্ত মঞ্চ থাকা দরকার যেখানে মানুষ তাঁদের শারীরিক চাহিদা ও যৌনতা নিয়ে নানা সংশয়ের কথা খেলা মনে আলোচনা করতে পারবেন। সময় নিয়ে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ নেন পল্লবী। বিশদে পড়াশোনা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy