ঋতুকালীন ছুটি দেবে কে? ছবি- সংগৃহীত
কর্মরত মহিলা এবং ছাত্রীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন ছুটির আবেদন জানিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাল না শীর্ষ আদালত। তবে প্রতিটি রাজ্যের সরকারকে ছুটি সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নিয়মের খসড়া প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের অধীনে থাকা একটি বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আইন তৈরি হলে শুধুমাত্র নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন সংস্থায় মহিলাদের কাজে নিয়োগ করা নিয়েও সমস্যা তৈরি হবে। এই নীতির প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই ওই বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়টি মহিলা এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে উত্থাপন করাই বাঞ্ছনীয়।
বহু যুগ ধরে চলে আসা পুরনো রীতি ভেঙে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্থাই মাসের চার দিন ছুটি বরাদ্দ করেছে। প্রত্যেক মাসে ঋতুকালীন দিনগুলির অসহ্য কষ্ট সহ্য করে সব কাজ করে যাওয়া এক রকম অসাধ্যসাধনই বটে। মুখ ফুটে শারীরিক অবস্থার কথা বলে ছুটি চাইতে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। তাই কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই নীতি চালু করা হয়। ইতিমধ্যেই সুইগি, জ়োমাটো, বাইজু’স, ওরিয়েন্ট ইলেকট্রিক মহিলা কর্মীদের জন্য এই ছুটি মঞ্জুর করার নোটিস জারি করেছে।
আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি শীর্ষ আদালতের কাছে যে আবেদন করেছিলেন, সেখানে বলা হয়েছিল যে, রাজ্য সরকারগুলি যদি ঋতুস্রাবকালীন ছুটি মঞ্জুর না করে, তা হলে সংবিধানের ১৪ নং ধারা লঙ্ঘিত হবে। মহিলারা তাঁদের ঋতুস্রাবের সময় শারীরিক এবং মানসিক যে যে সমস্যায় ভোগেন, তা থেকে মুক্তির জন্যই এই ছুটি বরাদ্দ করা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংস্থা এই নিয়ম চালু করেছে। তাই ভারতের নাগরিকত্ব আছে এমন সব রাজ্যের মহিলাদের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম চালু হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy