প্রতীকী ছবি।
সৌদি আরবে সরকারি কর্মীরা ছিনিয়ে নিচ্ছেন যে সব রামধনু রঙা খেলনা। পোশাক, বই কিংবা অন্য কোনও জিনিসও যদি রামধনু রঙের হয়, তবে তা-ও ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সমকামিতা সে দেশে অপরাধ। আর ছোটরা যাতে অপরাধপ্রবণ না হয়ে ওঠে, সে কারণেই এই উদ্যোগ বলে সরকারি সূত্রের খবর। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয় সে দেশের সংবাদমাধ্যম অল আখবরিয়ার তরফে। তার পরই বিভিন্ন দেশে ছ়ড়ায় সে খবর।
রামধনু রঙা পেনসিল বক্স থেকে টাই, স্কার্ট থেকে টুপি— এ বার থেকে যে কোনও দেশেই সে সব ব্যবহার করা বিধি-বিরুদ্ধ। সরকারির তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, এর পর থেকে সে দেশে রামধনু রঙা কোনও ধরনের জিনিস বানানো এবং বিক্রি করা যাবে না। রিয়াধের এক সরকারিকর্মী বলেন, ‘‘যে সব জিনিস সমকামের সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়, তা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কারণ ইসলামে সমকাম নিষিদ্ধ।’’
সে দেশে বেশ কিছু দিন ধরেই সমকামিতা নিয়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে দু’-একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যও নির্দেশিকা জারি হয়। যেমন ‘ডিজনি’কে বলা হয় ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’ থেকে সমকাম সংক্রান্ত সব ধরনের বক্তব্য বাদ দিতে। শেষে সেই শো-টিই আর দেখানো হয়নি ওই দেশে। এক সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘এ ধরনের জিনিস দেখলেই ছোটদের মন বিষিয়ে যাবে। সমকামিতা প্রসঙ্গে জানার ঝোঁক বাড়বে তাদের।’’
তবে কি সে দেশে এলজিবিটিকিউ সংক্রান্ত কোনও দাবি, প্রতিবাদ করা হয়নি? তেমনটাও নয়। এক নাগরিকের বক্তব্য, রিয়াধে একমাত্র একটি বাজার এলাকায় এখনও রয়েছে প্রান্তিক যৌনতার হয়ে প্রতিবাদের রামধনু রঙা পতাকা।
অল-অখবরিয়ার প্রতিবেদনে অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি ঠিক কতটা প্রবল ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে রামধনু রঙা খেলনা। ক’টি জায়গায় এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা-ও জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy