দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে পড়াশোনা করলে চোখে অস্বস্তি হয়। ছবি: সংগৃহীত
আড়াই বছরের শিশুকে খাওয়াতে মায়েদের কেটে যায় ঘণ্টা তিনেক সময়। কিছুই মুখে তুলতে চায় না সে। একমাত্র উপায়, মোবাইল কিংবা টিভিতে কার্টুনের ভিডিয়ো চালিয়ে দেওয়া। তা হলেই কিছুটা খাবার খাওয়ানো সম্ভব খুদেকে। করোনার দৌলতে এখন সব শিশুর হাতেই স্মার্টফোন। স্কুলের হোমওয়ার্ক হোক কিংবা টিউশনের ক্লাস— সবেই ভরসা মোবাইল। এর ফলে বাবা-মায়েরা চাইলেও শিশুদের ‘স্ক্রিন টাইম’ কম করার কোনও উপায় নেই।
চিকিৎসকদের মত, ক্লাসে বাচ্চারা ব্ল্যাক বোর্ডের লেখা দেখতে না পেলে শিক্ষককে জানাত। ফলে চোখে সমস্যা হলে শুরুতেই ধরা পড়ত। এখন বাবা-মা সন্তানদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন চোখের সমস্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর। কম্পিউটার, মোবাইল, ল্যাপটপ দেখতে হয় কাছ থেকে। এর ফলে চোখের সিলিয়ারি পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ঝাপসা দেখা, মাথা-চোখে ব্যথা, বমি-বমি ভাবের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ছোটদের।
এই সমস্যা এড়ানোর উপায়?
১) দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে পড়াশোনা করলে চোখে অস্বস্তি হয়। কোনও কোনও শিশুর ক্ষেত্রে চোখ অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, কারও আবার চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকে, চোখ লাল হয়ে যায়। এই সমস্যা এড়ানো জন্য শিশুদের বারবার চোখের পলক ফেলার অভ্যাস করতে বলুন।
২) এ ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন যন্ত্রটি শিশুদের চোখ থেকে কতটা দূরে থাকছে সেই ব্যাপারটিও দেখতে হবে। ল্যাপটপে পড়াশোনা করার সময়, স্ক্রিনটি চোখের স্তর থেকে ১৫-২০ ডিগ্রি নীচে এবং প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার দূরে থাকা উচিত। ডেস্কটপের ক্ষেত্রে, স্ক্রিনটি চোখের স্তরে এবং প্রায় ৩০-৭০ সেন্টিমিটার দূরে হওয়া উচিত। এতে তাঁদের চোখের সমস্যা থেকে খানিকটা রেহাই মিলবে। পাশাপাশি ঘাড়ে ব্যথা, মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
৩) পর্দার ঔজ্জ্বল্য কতটা থাকছে, সেটাও কিন্তু দেখা জরুরি। স্ক্রিনের ঔজ্জ্বল্য খুব বেশি বাড়ানো থাকলে চোখের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। তাই ঘরের আলোর উপর নির্ভর করে স্ক্রিনের ঔজ্জ্বল্য বদলাতে হবে।
৪) প্রত্যেক কুড়ি মিনিট অন্তর অন্তর মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। চক্ষু চিকিৎসকদের পরামর্শ, অনলাইনে পড়াশোনা করার সময় প্রত্যেক ২০ মিনিট অন্তর অন্তর পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে দূরে কোনও বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এই অভ্যাসের ফলে চোখের ক্ষতি কিছুটা হলেও কম করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy