যত দোষ তার মুখেই! ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনের সঙ্গী সে। মানুষ নয়, জলের বোতল। ইদানীং তার অনেক অবতার।
প্লাস্টিক বা ধাতুর বোতলের উপর বাহারি মোল্ড। তার গায়ে ফুল, ফল, পাখি, পছন্দের কার্টুন চরিত্র— কত কী আঁকা। শুধু ছোটরাই নয়, এমন বোতল এখন বড়দের হাতেও দেখা যায়। জল অনেক ক্ষণ পর্যন্ত ঠান্ডা বা গরম রাখতে বোতলের গায়ে এই ধরনের ‘ইনসুলেটেড মোল্ড’ দেখা যায়। কিন্তু এই বোতল ভাল করে পরিষ্কার না করলে তা যে রোগের আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে পারে, সে কথা সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন এক নেটপ্রভাবী।
বছর ১৯-এর কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী জানান, চলতি বছরের অগস্ট মাস থেকে তিনি কোনও না কোনও সংক্রমণে ভুগছেন। প্রথমে অল্প ঠান্ডা লেগেছিল। সেখান থেকে তা ব্রঙ্কাইটিসে দাঁড়ায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ, ইনহেলার নিয়ে কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল। তার কিছু দিন পরই আবার সাইনাসে আক্রান্ত হন ওই তরুণী। আবার তিনি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। কড়া অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ় চলে বেশ কিছু দিন। ওই তরুণী জানান, এর পর তাঁর গলায় ঘা দেখা দেয়। চিকিৎসকের কাছ থেকেই তিনি প্রথম জানতে পারেন, পানীয় জলের বোতল থেকে এই ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।
বাড়ি ফিরে নিজের সব সময়ের সঙ্গী পানীয় জলের বোতল পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি লক্ষ করেন, বোতলের মুখে শ্যাওলা বা ফাঙ্গি জন্মেছে। তাঁর মনে হয়, খালি চোখে দেখা যায় না এমন অনেক কিছুর অস্তিত্বও রয়েছে সেখানে। রোজ বোতল পরিষ্কার করলেও হালফ্যাশনের সিলিকন মোল্ড করা বোতলের মুখের খাঁজ সহজে পরিষ্কার করা যায় না। তাই ব্যাক্টেরিয়া সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। এই ধরনের বোতল কী করে পরিষ্কার করতে হয়, তা ‘গুগ্ল’-এর কাছে জানতেও চান ওই তরুণী। আবিষ্কার করেন, মোল্ডের ভিতর থেকে বোতল সম্পূর্ণ আলাদা করে তার পর বোতলের মুখ পরিষ্কার করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy