সকালের ব্যায়ামই সবচেয়ে ভাল
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম সেরে ফেলতে পারলে সারাদিন ভাবনা থাকে না৷ একটা নিয়ম তৈরি হয়ে যায়৷ দুপুরে–বিকেলে–রাত্রে ব্যায়াম করলে, মাঝে মধ্যেই ছেদ পড়তে পারে।
ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মৌলিমাধব ঘটকের মত তাই৷ কোনও কাজ নিয়মে করে করতে গেলে, সকালের বিকল্প নেই। ‘জার্নাল অফ ফিজিওলজি’তে প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সকালের ব্যায়ামে বডিক্লক সুন্দরভাবে পাল্টে যেতে শুরু করে। বেলা গড়ালেও এনার্জি কমে না। পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে সকালের ব্যায়াম৷
দুপুর-বিকেলের ব্যায়ামও ভাল। ‘জার্নাল অফ ফিজিওলজি’তে প্রকাশিত এক স্টাডি থেকে জানা গিয়েছে, বেলা ১টা থেকে ৪টের মধ্যে ব্যায়াম করলে শরীর গরম ও পেশি নমনীয় থাকে৷ রক্তচাপ কমে৷ বডিক্লকও এমন ভাবে পিছিয়ে যায়, দিনের শেষভাগেও শরীর তরতাজা থাকে৷ অন্য এক পরিসংখ্যান বলছে, এই সময় এমনিতেই ১০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয়, তার উপর ব্যায়াম করলে ক্যালোরি খরচের হার আরও বেড়ে যায়৷ পেশি গঠনের জন্যও এই সময় আদর্শ৷
সন্ধের পরও ব্যায়াম করতে পারেন৷ কিন্তু ‘জার্নাল অফ ফিজিওলজি’র গবেষণা বলছে, এই সময় ব্যায়াম করলে কারও কারও ঘুমের সমস্যা হয়৷ বিশেষ করে ভারী ব্যায়াম করলে৷ তবে বিজ্ঞানীদের মত, যদি ব্যায়াম করার পরেই স্নান করে, খেয়েদেয়ে শুয়ে না পড়েন, বিপদ তত নেই৷
তা হলে কখন?
প্রথমে ভেবে নিন, দিনের কোন সময় আপনি সবচেয়ে তরতাজা থাকেন৷ কখন সময় পাবেন, সেটাও ঠিক করে নিন।
সময় নিয়ে টানাটানি না থাকলে, বিভিন্ন সময়ে ব্যায়াম করে দেখে নিন, কোন রুটিন মেনে চললে আপনি সবচেয়ে বেশি তরতাজা থাকছেন৷
ব্যায়ামের উদ্দেশ্যটাও মাথায় রাখবেন৷ প্রাথমিক শর্ত যদি ওজন কমানো হয়, সকালে খালিপেটে ব্যায়াম করাই সবচেয়ে ভাল৷ সম্ভব না হলে অন্য সময়৷ পেশি গঠন করতে চাইলে একটু বেলার দিকে, দুপুরে বা বিকেলে ব্যায়াম করুন৷ খালি পেটে নয়৷
কোথায় করবেন? বাড়িতে না জিমে? বাড়িতে করলে যন্ত্রপাতি কিনে নিজের সুবিধা বুঝে ব্যায়াম করতে পারেন৷ না হলে বাড়ি বা অফিসের কাছের ভাল জিম খুঁজে নিন৷
সকালে ব্যায়াম করলে, আগের রাতে ব্যায়ামের পোশাকে ঘুমোতে যান৷ বা পোশাক হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন৷ জিমে গিয়ে পোশাক পাল্টানোর অভ্যাস থাকলে ব্যাগ গুছিয়ে হাতের সামনে রেখে দিন৷ রাত্রে ঘুমের সময়টা এগিয়ে আনতে হবে৷
কখন কী খাবেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ ব্যায়ামের আগে কার্বেহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ব্যায়ামের পর প্রোটিন খাওয়ার কথা৷ তবে হালকা ব্যায়াম করলে অত চিন্তা না করলেও চলে৷
‘‘ভাত, পাউরুটি, পাস্তা, আলু ইত্যাদি স্টার্চ, টার্কি, কুমড়োর বীজ ইত্যাদি খেলে ঘুম ভাল হয়৷ তার উপর ঘুম নিয়ে আসার হরমোন মেলাটোনিনের ক্ষরণ সবচেয়ে বেশি হয় রাত ১০টা নাগাদ৷ এ সব মাথায় রেখে খাওয়া ও ঘুমের রুটিন ঠিক রাখুন৷’’ এমনই বলছেন চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়৷
ব্যায়ামের আদর্শ সময় বলে কিছু হয় না৷ যখন সময় বার করতে পারবেন, আপনার শরীর, পেশি সবচেয়ে বেশি সাড়া দেবে ও আপনার কাজে ব্যাঘাত আসবে না— সেটাই আপনার সময়৷ তাতেই অভ্যাস হয়ে যাবে৷ ভাল ফল পাবেন৷
আরও পড়ুন: বেশি করে জল খান, ওজন দ্রুত কমতে পারে
আরও পড়ুন: পেটের গণ্ডগোল থেকে মুক্তি দিতে পারে ‘ফডম্যাপ’ ডায়েট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy