পোষ্য খেলবে। তাই বল, রাবারের ছোটখাটো জিনিস এনে দিলেন। কিন্তু যা কিনলেন, তা কি সারমেয়র পছন্দ হবে? মনুষ্যসন্তান একেবারে ছোট অবস্থায় যা নিয়ে খেলে, খানিক বড় হলে তার পছন্দও কিন্তু বদলে যায়। খেলার সরঞ্জাম তখন আর এক থাকে না। পোষ্যের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম খাটে। একেবারেই যখন সে ছোট, তখন বল, ছোটখাটো খেলনা তার পছন্দ হতে পারে। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই সব জিনিসের প্রতি সে আগ্রহ হারাতেই পারে।
বয়স অনুযায়ী পোষ্যের খেলাধুলোর সরঞ্জাম শুধু আলাদাই হয় না, তার কার্যকারিতাও হয় ভিন্ন। জন্মদিনে সারমেয়কে উপহার দিন বা শখ করে কিনে দিন, খেলনা বাছাইয়ের আগে পোষ্যের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, পছন্দ স্পষ্ট হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন:
সারমেয় যখন শাবক: দাঁত ওঠার সময় পোষ্য যে কোনও জিনিস চিবোনোর চেষ্টা করে। এই সময় তাকে পোষ্য-বান্ধব রবারের খেলনা দিতে পারেন, যা সে চিবিয়ে ফেললেও ক্ষতি নেই। আবার যাদের দাঁত বেশি ধারালো, তাদের ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যায় নাইলনের খেলনা। তবে, কাপড়ের জিনিস না দেওয়াই ভাল। দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে তার তন্তু বার করে দিতে পারে সারমেয়।
ধাঁধার খেলা: পোষ্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পাজ্ল গেম থাকে। যেমন বিভিন্ন ছোট ছোট খোপ কাটা খাবারের বাক্স, তার কোনওটিতে ঢাকনা থাকে, কোনওটিতে থাকে না। খেলা হল, তার মধ্যে কোনটিতে খাবার দেওয়া আছে তা খুঁজে বার করে খাওয়া। এগুলি সারমেয়র বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়ক হয়।
দড়ি নিয়ে খেলা: বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করলে যেমন সারমেয় শরীর সবল হয় তেমন দড়ি টানাটানিও তাদের পেশি মজবুত রাখতে সাহায্য করে। সারমেয়র আকার, শক্তি এবং প্রকৃতি অনুযায়ী সরঞ্জাম বাছতে হবে। বাড়িতে কোনও থামে, বাগানে শক্তপোক্ত কোনও গাছে তা আটকে দিতে হবে। এই ধরনের খেলনায় একটি প্রান্ত এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যাতে সারমেয় মুখ দিয়ে শক্ত করে ধরে তা গায়ের জোরে টানতে পারে।
তবে যে কোনও জিনিসই যে সারমেয়র পছন্দ হবে, এমন নয়। কোনও একটি খেলনা নিয়ে দিন দুয়েক পর সে আর না-ও খেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের খেলনা তাকে দিতে পারেন।
তবেই একই সঙ্গে মাথায় রাখা দরকার, যে খেলনাই সারমেয়রকে দেওয়া হবে, তা যেন পোষ্য-বান্ধব হয়। ধারালো কোনও কিছু যেন তাতে না থাকে।