দুই ভাইয়ের সঙ্গে সঞ্জয় কূপর। ছবি: সংগৃহীত।
ভাই বেশি সফল। তুলনা অনিবার্য ছিলই। তা নিয়ে অবশ্য কখনও মনে ঈর্ষা তৈরি হয়নি। সম্পর্কে ফাটল ধরেনি। সম্প্রতি একটি ‘পডকাস্ট’-এ মনের কথা খোলসা করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক সঞ্জয় কপূর। অনিল কপূর ও বনি কপূর সঞ্জয়ের দুই ভাই। অনিল কপূর অভিনেতা হিসেবে অত্যন্ত সফল। অসংখ্য ‘হিট’ সিনেমা তাঁর। বনিও সফল তাঁর জগতে।
তিন ভাই–ই চলচ্চিত্র জগতের অতি পরিচিত মুখ। তিন জনেই যখন একই পেশায়, তুলনা অবশ্যম্ভাবী ভাবেই এসে পড়েছে বার বার। ভাইয়েরা বেশি সফল, এমন কথা সঞ্জয়কে শুনতে হয়েছে। তবে, এই বিষয়গুলি কখনওই তাঁর মনে চাপ তৈরি করেনি, এমনটাই জানিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি এও বলেছেন, বার বার তুলনা শুনেও তাঁর মনে এ নিয়ে কখনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
সঞ্জয়ের কথায়, “প্রতিযোগিতা কখনও ছিল না, এমন নয়। তবে সেটা ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করতে পারেনি।” বরং তাঁর মনে হয়েছে অনিলের চেয়ে তিনি বেশি সুখী।
ভাইবোনে যত ঝগড়া, ততই ভাব। ছোটবেলায় ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়ও যেমন হয়, তেমনই একে অপরকে ছাড়া চলেও না। একে অপরের হাত শক্তকরে ধরেই শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে যায়। আবার বড় হলে অনেক সময়েই দেখা যায়, সম্পর্কের সমীকরণগুলো হয়ত বদলে গিয়েছে। ভালবাসা, ভরসার সম্পর্ক ঈর্ষায় পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটা বড় কারণ হতে পারে ক্রমাগত ভাই-ভাই অথবা ভাই-বোনের মধ্যে তুলনা টেনে আনা।
এ প্রসঙ্গে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মেহেজাবিন দোরদি বলছেন, “ভাই-ভাই অথবা ভাই-বোনের মধ্যে একজন বেশি গুরুত্ব ও প্রশংসা পেলে অন্য জনের মধ্যে ঈর্ষার মনোভাব তৈরি হয় অনেকক্ষেত্রেই। অন্যের সাফল্যে বা প্রশংসায় মনে রাগ জন্মায়। বার বার তুলনা টানলে মনের উপরেও চাপ তৈরি হতে পারে।”
কিন্তু তুলনাকে গুরুত্ব না দিয়ে সুস্থ সম্পর্কও যে বজায় রাখা সম্ভব, সঞ্জয় কপূরের বক্তব্য তারই অনুপ্রেরণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy