তারকা মায়েদের মাতৃত্বের টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
ঘর থেকে বাইরে বার হলেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, ফোটোশিকারিদের পোজ় দেওয়ার আবদার। পেশাগত জীবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম। তার মধ্যেই শরীর সুস্থ রাখা ও গ্ল্যামার ধরে রাখার দায়িত্ব। কারণ তাঁরা যে তারকা। চলচ্চিত্রের পর্দার মনভোলানো নায়িকারা কিন্তু সন্তানের মা-ও। কাজের ব্যস্ততা, সর্ব ক্ষণ ফোটোশিকারিদের নজর এড়িয়ে ঘরের কোনে আর পাঁচটা মায়েদের মতোই তাঁরাও তাঁদের সন্তানদের বড় করতে, ভাল মানুষ করার লক্ষ্যে, নীরবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
কী ভাবে লালন-পালন করেছেন সন্তানদের, কী ভাবেই বা করে চলেছেন সে কাজ আজও জানালেন বলিউডের তারকা মায়েরা।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন: মেয়ের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি তার খুশির খেয়াল সবসময় রেখেছেন মিস ওয়ার্ল্ড মা ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। বোঝাতে চেয়েছেন ঈশ্বরের মাহাত্ম্য। শিখিয়েছেন নিজের কাজের মূল্যায়ণ করতে। তৈরি করেছেন ভাল-খারাপের বোধ। আর পাঁচজন মায়ের মতোই তিনিও চান তাঁর সন্তান সুস্থ ভাবে, নিরাপদ ভাবে বেড়ে ওঠুক।
মালাইকা অরোরা: তিনি মনে করেন প্রবল কাজের চাপের মধ্যেও একজন মায়ের নিজের প্রতি যত্নটা খুব জরুরি। কারণ, নিজে না ভাল থাকলে পরিবারের সুখ-সুবিধের খেয়াল রাখা কষ্টকর। নিজে ভাল থাকলে, তবেই পরিবারকে ভাল রাখা যায় বলেই মনে করেন মালাইকা।
সমীরা রেড্ডি: সন্তানের পাশাপাশি জীবনসঙ্গীর সঙ্গেও সম্পর্কটা শক্তপোক্ত থাকাটা জরুরি বলে মনে করেন সমীরা। সন্তানের বড় হওয়া, জীবনের ছোট ছোট বদলগুলো একসঙ্গে উপভোগ করলে সম্পর্ক আরও মজবুত হয় বলেই মত সমীরার।
সুজান খান: সুজান তাঁর সন্তানদের সমতার পাঠ দিয়ে বড় করেছেন। সমস্ত শিশুই সমান, বুঝিয়েছেন তাদের। তারা যাতে নিজেদের ইচ্ছে মতো জীবনে এগিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে স্বাধীনতাও দিয়েছেন। জীবনের ওঠা-পড়ায় তিনি সব সময়ে সন্তানদের সঙ্গেই আছেন বুঝিয়ে দিয়েছেন। দিয়েছেন বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে স্বাধীনতাও।
মীরা রাজপুত: সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে জোর দিয়েছেন মীরা রাজপুত। তাঁর কথায়, ‘মাতৃত্বে শান্ত থাকতে হবে। দেখতে হবে সন্তানের বেড়ে ওঠা যেন আনন্দপূর্ণ হয় সন্তান ও মা দু’জনের জন্যই।
নেহা ধুপিয়া: সন্তান হওয়ার পর অনেক মা যে হতাশার শিকার হন, তা নিয়ে স্পষ্ট ভাবেই সোচ্চার হয়েছেন নেহা। এ রকম পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর জোর দিয়েছেন অভিনেত্রী।
করিশ্মা কপূর: মাতৃত্বের শুরুর দিকে মানসিক চাপকে বশে রাখাটা খুব জরুরি বলে মনে করেন করিশ্মা। কারণ তখন একসঙ্গে এত দিক সামলাতে হয়, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। করিশ্মা সদ্য হওয়া মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে জোর দেওয়াটা জরুরি বলেই মনে করছেন।
টুইঙ্কল খন্না: তিনি সন্তানদের সহনশীলতার পাঠ দিয়ে বড় করছেন। তিনি চান ভাল-মন্দ বুঝতে ও নিজের পাওয়া, না-পাওয়া মেনে নিতে শিখুক বাচ্চারা। সন্তানের প্রতি নিঃশর্ত ভালবাসা ও খোলামেলা ভাবে মেলামেশায় গুরুত্ব দেন টুইঙ্কল।
করিনা কপূর: মা হলেও পেশাগত জীবন জরুরি বলেই মনে করেন করিনা। পেশাগত জীবন ও মাতৃত্ব, দু’দিকই ভারসাম্য বজায় রেখে সামলানোয় বিশ্বাসী তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy