বাড়ির চারপেয়ে সদস্য পাছে কিছু পোকামাকড় খেয়ে ফেলে, এটা-ওটা মুখে দেয়, সেই ভয়ে তটস্থ! ঘরদোর পরিষ্কার রাখেন সব সময়ে। সারমেয়র পক্ষে বিপজ্জনক গাছপালাও ঘরের বাইরে। কিন্তু হেঁশেল বা ঘরে রাখা বর্জ্য ফেলার পাত্রটি নিয়ে ভেবেছেন কি? সারমেয়র জন্য সেটিও কিন্তু কম বিপজ্জনক নয়।
কেন ভয়?
সারমেয়দের ঘ্রাণশক্তি প্রখর। হেঁশেলের বর্জ্য ফেলার পাত্রে খাবার টুকরোর গন্ধ তাদের আকৃষ্ট করতে পারে। তা ছাড়া কখনও কৌতূহলে, খেলার ছলেও তারা সেই পাত্র উল্টে দিয়ে ছড়াতে পারে। সে সব পরিষ্কার করা ঝক্কি তো বটেই, সমস্যা হতে পারে সারমেয় যদি এমন কিছু মুখে দিয়ে ফেলে, যা তার পক্ষে ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন:
জর্জিয়ার পশুচিকিৎসক অ্যালিসন উইথেরো জানাচ্ছেন, বর্জ্যের পাত্র ঘাঁটতে গিয়ে ওয়াইনের ছিপি গিলে ফেলেছিল এক সারমেয়। এমন বিপদ-আপদ যে কোনও সময় ঘটতে পারে। তিনি সাবধান করছেন, কাঁচা মাংসের টুকরোও পোষ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এমন জিনিস খেয়ে ফেললে ব্যাক্টেরিয়া তার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
সাবধান হওয়ার উপায়
পোষ্যের পক্ষে বিপজ্জনক কোনও জিনিস তার নাগালের বাইরে রাখতে হবে। নাগালের বাইরে রাখা দরকার ময়লা ফেলার পাত্রটিও। ঘরে বা স্নানঘরের বর্জ্য ফেলার পাত্রে যে কোনও জিনিস ফেলার বিষয়ে সাবধানতা জরুরি। প্রসধানীর কৌটো, ধারালো জিনিস, ভাঙা কাঁচি, পুরনো রেজ়ার, ব্লেড, কাচের শিশি, ছিপি— এমন অনেক কিছুই পোষ্যের থেকে দূরে রাখা দরকার।
ওষুধের শিশি, ইঞ্জেকশনের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ক্ষত পরিষ্কার করা তুলো ইত্যাদি নিয়েও নিয়ে সাবধানতা জরুরি।
হেঁশেলের বর্জ্য হিসাবে খাবারের টুকরো সেই পাত্রে ফেলা স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে যাতে সারমেয় কোনও ভাবেই না পৌঁছয়, নিশ্চিত করতে হবে। বর্জ্য ফেলার নানা রকম পাত্র আছে। পায়ে চাপ দিলে দু’পাশে ঢাকনা খুলে যায়, এমন ‘বাটারফ্লাই ট্র্যাশ ক্যান’ রাখতে পারেন। সারমেয় সেটি খোলার কৌশল না জানলে, পাত্রটি উল্টে দিলেও ময়লা বার করতে পারবে না।
ময়লা ফেলার পাত্র খোলা জায়গায় না রেখে কোনও কাবার্ডেও ঢুকিয়ে রাখা যায়। কারণ, শুধু পোষ্য নয়, কিছু জিনিস মানবশিশুর পক্ষেও বিপজ্জনক হতে পারে।