Advertisement
০২ জুলাই ২০২৪
Relationship Conflicts Tips

দাম্পত্য কলহের প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন যাপনে! কোন পথে সমাধান?

দাম্পত্য সম্পর্ক কলহ ছাড়া কি মধুর হয়! ঠোকাঠুকি শেষে মান ভাঙানোর পালা সম্পর্ককে করে তোলে সুন্দর। তবে প্রতিদিনের কলহ যদি যাপনে প্রভাব ফেলে, তবে সতর্ক হতে হবে।

দাম্পত্য কলহ লাগামছাড়া?  রাশ টানতে কী করবেন?

দাম্পত্য কলহ লাগামছাড়া? রাশ টানতে কী করবেন?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১৯:২৫
Share: Save:

দাম্পত্য মানেই ঠোকাঠুকি, মান-অভিমান থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কলহ ছাড়া কি সত্যিই দাম্পত্য সম্পর্ক হয়? তবে সেই কলহের চোটে যদি বাড়িতে কাক-চিল বসতে না পারে, তা হলে অবশ্য ভাবার বিষয় রয়েছে।

যে কোনও সম্পর্কে মতের অমিল হয়। তা নিয়ে উঁচু গলায় বাক্যলাপও খুব সাধারণ বিষয়। এ বেলার ঝগড়া ও বেলা মিটে যায়, বা বড়জোড় তার মেয়াদ এক থেকে দু’দিন হতে পারে। কিন্তু যদি কলহ দিনের পর দিন চলতে থাকে, তবে সমাধানের উপায় ভাবতেই হবে ।

দাম্পত্য-কলহ সামাল দিতে কী করবেন?

১. যে বিষয় নিয়ে নিত্য ঝামেলা, তা নিয়ে কথা বলাই বন্ধ করুন সাময়িক ভাবে। বিষয়টি স্বামী বা স্ত্রী, কেউ তুলবেন না। বরং সেগুলো বাদ দিয়ে দু’জনের মধ্যে স্বাভাবিক কথোপকথন বজায় রাখুন। কয়েকটা দিন শান্ত থাকলে, দু’জনেই আলাদা করে সমস্যা নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবার সুযোগ পাবেন। তখন দু’জনে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। ঝগড়া নয়।

২.খারাপ কথা নয়। মাথা গরম থাকলে একে অন্যকে যত কুকথা বলবেন, ততই তিক্ততা বাড়বে। কলহের বিষয় হয়তো পরে বদলে যাবে, তবে মনে দুঃখ দেওয়া কথা কিন্তু ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। তাই যত অশান্তিই হোক, গালি-গালাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এমন কোনও কথা কেউ কাউকে বলবেন না, যার কারণে সম্পর্কে স্থায়ী ফাটল ধরতে পারে।

৩. সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য সু্স্থ শারীরিক সম্পর্ক জরুরি। এতে মনের বাঁধনও দৃঢ় হয়। আবার কলহ শেষে বা মান ভাঙাতে একে অপরকে আলিঙ্গন কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে।

৪. কলহ দীর্ঘ দিন জিইয়ে থাকার অন্যতম কারণ হতে পার ‘ইগো’ বা অহংবোধ। কেউ কারও কাছে নিচু হতে চান না। কাছের মানুষকে ‘সরি’ বা ‘দুঃখিত’ বলায় কিন্তু কেউ ছোট হয়ে যায় না। অনেক সময় দু’জনের মনেই অভিমান থাকে, আর তা এত বেশি হয়ে যায় যে, চাইলেও একে অপরের কাছে আসতে পারেন না। একটু সেকেলে ধরনের হলেও, কোনও ছোট চিরকুটে মনের কথা লিখে দেওয়া বা সামনাসামনি বলতে না পারা কথা চিঠিতে লিখেও অন্য মানুষটিকে জানাতে পারেন।

৫.ঝগড়ার সময় ভীষণ ভাবে ‘আমি’ এসে যায়। আমি এই করি, তুমি কী কর বা করেছ? শুরু হয় দোষারোপের পালা। মাথা গরম থাকলে কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে সরে যান। পরে একলা বসে ভাবুন, সবেতেই কি অন্য মানুষটির দোষ ছিল? আপনার কোনও ভূমিকা ছিল না? ভাবলেই উত্তর মিলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Relationship Conflicts Lifestyle Relationship
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE