অত্যধিক গরম, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি শুধু মানুষ নয়, পোষ্যের জন্যও ক্ষতিকর। প্রবল গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে পোষ্যেরও। পশু চিকিৎসেকরা বলছেন, ‘‘বড় বা ছোট যে কোনও সারমেয়কেই উপযুক্ত পরিবেশ এবং পরিচর্যায় রাখতে না পারলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তবে সমস্যা বেশি ছোট আকারের সারমেয়দের নিয়ে।’’
গাজ়িয়াবাদের পশু চিকিৎসক হর্ষ বীরভান বলছেন, ‘‘বিড়াল, কুকুরের শরীরে তাপপ্রবাহের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। কুকুরের ঘর্মগ্রন্থি থাকে না। শরীর থেকে তাপ বের করার জন্য তারা জিভ বার করে হাঁপাতে থাকে। ফলে গরম বেশি হলে, তাদের শরীরেও সমস্যা হতে পারে।’’
কোন ধরনের সারমেয়র অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি?
তাপপ্রবাহের জেরে যে কোনও প্রাণী অসুস্থ হতে পারে। তবে ছোট আকারের পোষ্যের ঝুঁকি বেশি বলছেন পশুচিকিৎসক। কারণ তাদের শরীর ছোট। এই ধরনের কুকুর বা বিড়ালের শরীরে দ্রুত জলাভাব দেখা দিতে পারে। তুলনায় বড় চেহারার হাস্কি বা গোল্ডেন রিট্রিভারের শরীর থেকে দ্রুত গতিতে তাপ বেরিয়ে যায়। তা সত্ত্বেও এরা ঝুঁকির ঊর্ধ্বে নয়। যে ঘন লোম শীতে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে, সেই লোমই গরমে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীর থেকে তাপ বেরোতে না পারলে হিট স্ট্রোক হতে পারে এদেরও। বিশেষত, গরমের দিনে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করানোর প্রবণতা বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন:
পোষ্য নিয়ে দীর্ঘ দিন ব্যবসা করছেন দর্শনকুমার খালসা। তিনি বলছেন, ‘‘পাগ, শিহ্ তুজ়ের মতো চ্যাপ্টা মুখের সারমেয়দের জন্য গরমের মোকাবিলা করা কঠিন হয়। কারণ, আকৃতিগত কারণে, জিভ বার করে হাঁপিয়েও তারা শরীর চট করে ঠান্ডা রাখতে পারে না।’’ তাঁর কথায়, বুলডগ আকারে একটু বড় হলেও চ্যাপ্টা বা থ্যাবড়া মুখের জন্য তাদেরও একই সমস্যা হয়। তবে ছোট প্রজাতির কুকুরের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সব সময়েই বেশি।
কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হতে হবে?
প্রবল গরমে যদি পোষ্য কাহিল হয়ে পড়ে, ক্লান্তি দেখা দেয়, অতিরিক্ত হাঁপাতে থাকে, খাওয়াদাওয়া করতে চায় না, সক্রিয়তা কমে যায়, বমি, শ্বাসকষ্ট বা কোনও রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
কোন সতর্কতা জরুরি?
· সারা দিনে পোষ্য পর্যাপ্ত জল খাচ্ছে কি না, দেখা দরকার। তরল খাবার দেওয়া যেতে পারে জলাভাব দূর করতে।
· প্রবল গরমে বাড়ির যে অংশটি ঠান্ডা, সেখানে রাখতে হবে।
· চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্নান করানো জরুরি।