পরষ্পরকে ভালবেসে দু’জন মানুষ কাছাকাছি আসেন। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু অনেক সম্পর্কে দু’জনের ভালবাসার তারতম্য দেখ যায়। একজন হয়তো অন্যজনের জন্য পারলে জীবনটাই বাজি রাখেন। কিন্তু অন্যজনকে ভাবাসার এই বিপুল স্রোতে ভেসে যেতে দেখা যায় না। পাড়ে দাঁড়িয়ে শুধু নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে যিনি সব আবেগকে পুঁজি করে ভালবেসে গেলেন তাঁর ক্ষেত্রে অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। অন্তত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই রকম অনুভূতি আপনার তখনই হবে যখন আপনার সঙ্গী প্রথম পছন্দ আপনি নন। আপনার আগেও কেউ বা কিছু আছে। সঙ্গীর বিশেষ কয়েকটি লক্ষণ দেখে আপনি সহজেই তা বুঝে যেতে পারবেন।

কোন পূর্ব পরিকল্পনা করতে নারাজ

সিনেমা দেখতে যাওয়া হোক রেস্তঁরায় খেতে যাওয়া, নিদেনপক্ষে দেখা সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রেও কি আগে থেকে পরিকল্পনা করতে নারাজ সে? এই রকম হলে হলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে তাঁর অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে।যার গুরুত্ব আপনার চেয়ে বেশি। সেই পরিকল্পনাটির উপর নির্ভর করছে আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়টি।

দরকার ছাড়া কথা না বলা

ভালবাসেন বলে দিনের প্রতিটি মুহূর্ত কাছাকাছি থাকতে হবে বা কথা বলে যেতে এমন কোনও মানে নেই যেমন, তেমনই দরকার ছাড়া আর অন্য কোনও কথা হয় না, সেটা মোটেই সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ নয়। আপনার সঙ্গী ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন, অথচ নেটমাধ্যমে সব সময় সক্রিয় আছেন তিনি। সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় আপনার চেয়ে তাঁর কাছেগুরুত্বপূর্ণকিছুআছে।

আপনার সঙ্গে কোনও পরিকল্পনা ঘন ঘন বাতিল করে দিলে

দু’জনে একসঙ্গে অনেকদিন পর কোথাও বেরোবেন বলে আশা করে বসে আছেন।হঠাৎ করেই শেষ মুহূর্তে আপনার সঙ্গী কাজ পড়ে গিয়েছে বলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন। এর থেকে বোঝা যায় যে,যা কাজই থাকুক সেটি আপনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বলে রাখা ভাল, আগে থেকেই ভুল বুঝবেন না। হতেই পারে সঙ্গত কোনও কারণেই পরিকল্পনাটি ভেস্তে দিয়েছে সে।

একসঙ্গে কাটনো মুহূর্তগুলি মনে না রাখা

দু’জনের একসঙ্গে গড়ে তোলা সুন্দর মুহূর্তগুলি আপনার ভাল থাকার রসদ হলেও আপনার সঙ্গীর কিছুই মনে নেই। হতে পারে আপনার কাছে ওই মুহূর্তগুলি যতটা দামি, অপরদিকের মানুষটির কাছে সেই সুন্দর মুহূর্তগুলি আলাদা করে কোনও মানে রাখে না।