সম্পর্কে ইতি টানবেন কখন ছবি: সংগৃহীত
জয় গোস্বামী বহু দিন আগেই লিখেছেন, ‘‘একটি বিচ্ছেদ থেকে পরের বিচ্ছেদে যেতে যেতে কয়েকদিন মাত্র মাঝখানে পাতা আছে মিলনের সাঁকো।’’ কাজেই ভালবাসলে ভালবাসার মানুষটিকে যেমন বলতে হয় সে কথা, তেমনই কোনও সম্পর্ক কখন আর ভালবাসার নেই বুঝতে হয় তাও। বিশেষত ভালবাসা অভ্যাস গেলে কেউ কেউ খুঁজে পান না ইতি রেখাটি। কী ভাবে বুঝবেন কখন বেরিয়ে যাওয়াই এক মাত্র পথ?
১। যদি কেউ কোনও সম্পর্কে থাকাকালীন মানসিক বা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন, দ্বিতীয় বার না ভেবে বেরিয়ে আসুন। পুরুষ হন বা নারী, সঙ্গী যদি কোনও ভাবে মৌখিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহ করেন তবে অবিলম্বে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সাহায্য নিন বিশেষজ্ঞদের।
২। যদি দেখেন সম্পর্ক ধরে রাখতে নিজের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে হচ্ছে, তবে সেই সম্পর্কের থেকে বেরিয়ে আসাই ভাল। মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আদপে নিজের কাছে প্রতিনিয়ত মিথ্যে কথা বলে চলার সামিল।
৩। যৌনতা বা যৌন মিলন হয়তো সব সম্পর্কে থাকে না। কিন্তু যাঁরা আগে নিয়মিত মিলিত হয়েছেন তাঁরা যদি উপলব্ধি করেন যে সঙ্গীর প্রতি আর কোনও রকম যৌন আকর্ষণ বোধ করছেন না বা ঘনিষ্ঠ হতে ইচ্ছেই করছে না দিনের পর দিন, তা হলে বুঝতে হবে সম্পর্ক একেবারেই সঠিক জায়গায় নেই। আর এই শীতলতা যদি মানসিক সমস্যার কারণে এসে থাকে তা হলে নিতে হবে মনোবিদের পরামর্শ।
৪। ভালবাসার ঠিক বিপরীত হল নিরুত্তাপ থাকা। যদি সঙ্গীর ভাল-মন্দের ওঠা নামা বা দৈনন্দিন যাপন আপনার মনে কোনও রকম দাগ না কাটে তা হলে বুঝতে হবে সম্পর্কের কোথাও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনও হতে পারে আপনি যে কথাগুলি বলতে চাইছেন, শুনতে চাইছেন তা আপনার সঙ্গী কিছুতেই আর বুঝতে পারছেন না। যদি উল্টোটাও সত্যি হয়, তা হলে বুঝতে হবে বিচ্ছেদের সময় হয়তো এসে গিয়েছে।
৫। এত কিছুর পরেও শেষ কথাটি হল ভালবাসা। মানুষ আর যাই বুঝুক না বুঝুক, ভালবাসার অনুভূতি আছে না নেই তা স্পষ্ট বুঝতে পারে। যদি দু’জনের কারও মধ্যে এই ভালবাসা না থাকার অনুভূতি এসে থাকে, তা হলে সেই সম্পর্ক রাখারও বিশেষ মানে থাকে না। তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি সম্পর্ক আলাদা। স্বতন্ত্র তার সমীকরণও। কাজেই এক সঙ্গে থাকা এবং না থাকা দুটি সিদ্ধান্তই নিন নিজের ও সঙ্গীর ভাল থাকার কথা ভেবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy