Advertisement
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
Relationship Tips

সন্তানের জন্মের পর দাম্পত্য জীবনে দূরত্ব বাড়ছে? ৫ উপায় মেনে চললেই রং ফিরবে জীবনে

সন্তানের জন্মের পর বাবা-মা দুজনেই দাম্পত্য জীবনের তুলনায় সন্তানকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ এই সময় গোটা বিষয়টি বুদ্ধি করে সামলে নিলে দু’জনের সম্পর্ক আরও বেশি মধুর হয়। জেনে নিন, সন্তান জন্মের পরেও সম্পর্ক রঙিন রাখার মূল চাবিকাঠি কী।

সন্তানের জন্মের পরেও দাম্পত্য জীবন রঙিন রাখবেন কী ভাবে?

সন্তানের জন্মের পরেও দাম্পত্য জীবন রঙিন রাখবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২৪
Share: Save:

দাম্পত্যে সুখ টিকিয়ে রাখার কি আদৌ নির্দিষ্ট কোনও ফর্মুলা আছে? জীবনে আর একটি মানুষ জড়িয়ে পড়লে কিছু কথা মাথায় রেখে চলতে হয় বইকি! দাম্পত্যে সুখী থাকার অর্থ তো আপনার পাশাপাশি অপর মানুষটিও যাতে সুখী থাকে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা। সব সম্পর্কেই ভালবাসার পাশাপাশি ঝামেলা-অশান্তি লেগে থাকে। ভালবাসার মানুষের সঙ্গেই তো আমাদের যত রকম মান-অভিমানের পালা চলে। তবে এই মান-অভিমানের পর্ব খুব বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কিন্তু মোটেও কাজের কথা নয়। সন্তানের জন্মের পরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে অনেক সময়ই বেশ খানিকটা দূরত্ব চলে আসে। বাবা-মা দুজনেই দাম্পত্য জীবনের তুলনায় সন্তানকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ এই সময় গোটা বিষয়টি বুদ্ধি করে সামলে নিলে দু’জনের সম্পর্ক আরও বেশি মধুর হয়। জেনে নিন, সন্তান জন্মের পরেও সম্পর্ক রঙিন রাখার মূল চাবিকাঠি কী।

রোম্যান্স জরুরি: একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখাটো সারপ্রাইজ়, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি আনলেই সুখের হবে জীবন! সব সময় সঙ্গী আপনার মনের কথা ভেবে চলবেন এমনটা নয়, আপনাকেও কিছু প্রচেষ্টা করতে হবে।

একান্তে সময় কাটান: সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেওয়া। সন্তান জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য আরওই সময় দিতে পারেন না। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। সন্তান জন্মের পর বিশেষ করে ওকে ঘিরেই নতুন জগৎ বানিয়ে নেন অভিভাবকেরা, এই ভুলটা না করে দাম্পত্য জীবনের জন্যও কিন্তু সময় বার করতে হবে দু’জনকে।

স‌ঙ্গীর প্রশংসা করুন: সন্তান জন্মের পর অনেক মহিলাই অবসাদে ভোগেন। মহিলাদের শরীরে এ সময় নানা রকম বদল আসে, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। এই সময় প্রশংসা করলে মহিলাদের মন ভাল থাকে। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি। তাঁর কাজের প্রশংসা করুন, মাঝেমধ্যে প্রশংসা শুনে সঙ্গীর মনও ভাল হয়ে যায়।

মিলেমিশে কাজ: একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। সন্তানের টুকিটুকি কাজের সঙ্গে বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে জিমে যেতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর মিনিট পনেরো হলেও সঙ্গীর সঙ্গে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে। মনে কোনও কথা পুষে না রেখে একান্তে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা ভাগ করে নিন।

পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া: পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। যাঁকে ভালবাসছেন তাঁর ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনওই সুখের হবে না দাম্পত্য জীবন।

অন্য বিষয়গুলি:

Relationship Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy