ছেলে ও পরিবারের জন্য এই কাজ করতে পেরে অভিভূত ন্যান্সি। ছবি: সংগৃহীত
নিজের গর্ভে ছেলে বৌমার সন্তানধারণ করলেন ৫৬ বছর বয়সি প্রৌঢ়া ন্যান্সি হক। ছেলে জেফ হক ও বৌমা ক্যামব্রিয়ার সন্তানের সরোগেট মা হলেন প্রৌঢ়া। শারীরিক সমস্যার কারণে বৌ ক্যামব্রিয়া তাঁর গর্ভে সন্তান রাখতে সক্ষম নন, তাই পরিবার বাড়ানোর দায়িত্বভার হাসিমুখে নিজে কাঁধে তুলে নিলেন ন্যান্সি। জেফ হক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘কত জনের ভাগ্য হয় নিজের মাকে সন্তান জন্ম দিতে দেখার? আমার সেই ভাগ্য হয়েছে। ডেলিভারি রুমে আমি দেখেছি মাকে আমার কন্যার জন্ম দিতে। অনেকেই এই কাজকে ভাল চোখে দেখবে না, কিন্তু আমি, আমার স্ত্রী আর মা বিষয়টিকে মোটেই সেই ভাবে দেখেনি।’’
ছেলে ও পরিবারের জন্য এই কাজ করতে পেরে অভিভূত ন্যান্সি। এই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়, দাবি তাঁর। ন্যান্সি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। সুস্থ ভাবে সন্তান জন্ম দিতে পেরে আমি সত্যিই অভিভূত। তবে তাঁকে ছেড়ে দূরে থাকতে হবে ভেবে বেশ দুঃখিত।’’
দম্পতি তাঁদের কন্যাসন্তানের নাম রেখেছেন হানা। সন্তানধারণ করেছেন জানতে পারার দিন ছয়েক পরে ন্যান্সির স্বপ্নে আসে এক খুদে। সে জানায়, তার নাম হানা। সেই থেকেই নবজাতকের নাম হয় হানা।
বিয়ের আগেই জেফ হক স্থির করে নিয়েছিলেন তিনি কমপক্ষে চার থেকে ছ’টি সন্তানের বাবা হতে চান। তবে বিয়ের পর ক্যামব্রিয়ার বন্ধ্যত্বের সমস্যা ধরা পড়ে। তাই ক্যামব্রিয়া আইভিএফ পদ্ধতিতে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বছর তিনেক পর ফের যমজ পুত্রসন্তান গর্ভে ধারণ করেন ক্যামব্রিয়া। সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে পেটে প্রবল যন্ত্রণা ও রক্তপাত শুরু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা জানতে পারেন হিস্টেরেক্টমি নামক রোগে আক্রান্ত তিনি। ফলে এর পরে সন্তানধারণ করলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। অথচ আইভিএফ পদ্ধতিতে তাঁদের আরও একটি ভ্রূণ তৈরি হয়েছিল, যা গর্ভে ধারণ করা ক্যামব্রিয়ার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সবটা শুনে ন্যান্সি নিজেই ছেলের কাছে সারোগেট মা হওয়ার প্রস্তাব রাখেন। আর সে কারণেই ন্যান্সির কোল আলো করে এল হানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy