পুজোয় ঘুরতে বেরিয়ে প্রিয়জনের মন জিতবেন কী ভাবে? ছবি-প্রতীকী
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন এমন বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের যুগে প্রিয়জনের সঙ্গে আলাপ হয়ে যেতে পারে আগেই। তবুও অনেক সময়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করতে গেলে বুক দুরু দুরু করা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। এমন মানসিক উদ্বেগকেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ডেটিং অ্যাংজাইটি’। যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা মেনে চলতে পারেন সহজ কিছু কৌশল।
১। পরিচিত প্যান্ডেল
অপরিচিত স্থানে ডেটে যাওয়ার বদলে প্রথম বার পরিচিত কোনও জায়গার পুজোগুলি ঘুরে আসতে পারেন। ঠাকুর দেখার পর যেতে পারেন পরিচিত রেস্তরাঁয়। পরিচিত পরিবেশ, পরিচিত খাবারদাবার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। যদি পরিচিত কোনও রেস্তরাঁয় যান, সেই ক্ষেত্রে খাবার অর্ডার করার উদ্যোগ নিতে পারেন নিজেই।
২। সততা থাকুক শুরুতেই
পুজোয় একসঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন মানেই যে সকলে স্থায়ী সম্পর্কে আগ্রহী, এমন না-ও হতে পারে। তাই আপনি কী চাইছেন বা সঙ্গী কী চাইছেন, তা শুরুতেই জেনে নেওয়া ভাল। যে কোনও সম্পর্কের শুরুতেই সততা থাকলে নিজের অনুভূতিও সৎ ভাবে প্রকাশ করা সহজ হয়। আপনি যদি গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তা-ও জানান খোলাখুলি। দেখবেন, অনেক সহজ হবে কথোপকথন।
৩। পুজোর আগেই প্রস্তুতি
প্রথম বার একসঙ্গে বেরোলে অনেক কথা গুছিয়ে বলা হয় না। গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে তো আর কথাই নেই। যদি মনে হয় কিছু বিশেষ কথা আপনার বলার আছে, তবে সেগুলি আগে থেকে ঝালিয়ে নিতে পারেন।
৪। বর্তমানে বাঁচা
ঘুরতে বেরোনোর আগে অনেকেই ভাবেন পোশাক থেকে আদবকায়দা, সব কিছুই বুঝি নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে পুজোর সাজ যদি বিন্দুমাত্র এ দিক-ও দিক হয়, তা হলে তো আর কথাই নেই। এই ধারণা মোটেই ধ্রুব সত্য নয়। আপনি নিজে ব্যক্তিমানুষ হিসাবে যেমন, তার বাইরে অন্য কিছু সাজার বিশেষ প্রয়োজন নেই।
৫। ইতিবাচক ভাবনা
যে মানুষটিকে সর্ব ক্ষণ কাছে চাইছেন, তাঁকে প্রথম বার কাছে পেলে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসা অসম্ভব নয়। সব কিছু যে আশানুরূপ হবেই, এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে না কেউই। কাজেই সে সব নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে ইতিবাচক দিকগুলিকেও দিতে হবে সমান গুরুত্ব। ভবিষ্যৎ সব সময়েই বহুমুখী। তবুও কেউ যখন দেখা করতে চাইছেন, তখন বিষয়টি ইতিবাচক তো বটেই।
তবে মনে রাখতে হবে, সব সম্পর্কই স্বতন্ত্র। তাই একই নিয়ম সবার ক্ষেত্রে না-ও খাটতে পারে। কাজেই নিজেদের সম্পর্ক কোন পথে মজবুত হবে, তা বুঝতে হবে নিজেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy