রাতে শসা খেলে সমস্যা কোথায়? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে বাড়তি মেদ যদি কিছুটা কমিয়ে ফেলা যায় সেই আশায় ভাত-রুটি বাদ দিয়ে সারা দিন শসা খাচ্ছেন। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীর আর্দ্রতাজনিত সমস্যা দূর করতেও শসার জুড়ি নেই। শরীরে নানা রকম খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে এই ফলটি। তবে যতই উপকারী হোক, পুষ্টিবিদেরা রাতের বেলা বেশি শসা খেতে সাধারণত বারণ করেন। অনেকেরই ধারণা, রাতের বেলা শসা খেলে ঠান্ডা লেগে যায়। এই তত্ত্ব কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, রাতে শসা খেলে ঠান্ডা লাগবে এমন ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। রাতের বেলা যে একেবারে শসা খাওয়া যায় না এমনও নয়। পরিমিত পরিমাণে খেলে খুব একটা অসুবিধা হয় না। কিন্তু রাতে শসা খেতে বারণ করার কারণ হল শসার মধ্যে থাকা ফাইবার। পম্পিতা বলেন, “বিকেল-সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের শারীরিক সক্রিয়তা কমে আসে। শসার মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে তা সহজে পরিপাক করা যায় না। ফলে রাতে বাটিভর্তি শসা খেলে পেটফাঁপা বা পেটভার হয়ে থাকতে পারে। ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে।”
তা হলে কখন শসা খাওয়া যেতে পারে?
পেটের মারাত্মক সমস্যা থাকলে বেশি শসা খাওয়ার প্রয়োজন নেই। একান্তই ইচ্ছে হলে দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় কয়েক টুকরো শসা খেতে পারেন। কিন্তু তার পরে একেবারেই নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy